সঙ্গীদের নিয়ে মেয়েকে ধর্ষণে অভিযুক্ত বাবা। প্রতীকী ছবি।
বোলপুর ধর্ষণ-কাণ্ডের নির্যাতিতার শারীরিক পরিস্থিতি সঙ্কটজনক। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অন্য দিকে, মঙ্গলবারই ধর্ষণে অভিযুক্ত বাবা এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা মিলিয়ে মোট চারজনকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
নদিয়ার হাঁসখালি ধর্ষণের ঘটনার মধ্যেই গত সোমবার বীরভূম জেলার বোলপুরের মুলুক এলাকার আদিবাসী পাড়ায় আর এক ন্যক্কারজনক ঘটনা সামনে আসে। নিজের মেয়েকেই সঙ্গীদের নিয়ে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩১ মার্চ দীপ্তি ঘোষ নামে এক যুবক ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এমনকি সে কথা কাউকে জানালে তাঁকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। এর পর ওই তরুণী তাঁর মাসতুতো বোনের বাড়িতে চলে যান। সেখান থেকে বাড়ি ফিরলেও এ নিয়ে ‘লোক জানাজানি’র ভয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে রাজি হননি। এর পর গত ৩ এপ্রিল বর্ধমান থেকে ওই তরুণী ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পর দীপ্তি, তরুণীর বাবা বাবলু সোরেন এবং আরও দু’জন ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মোট চার অভিযুক্তের মধ্যে কয়েকজন রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত। দীপ্তি রায় নামে অভিযুক্ত স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। সূত্রের খবর, নেশা এবং জুয়ার আসর বসিয়ে বেশ কিছু ধারদেনা করেন নির্যাতিতার বাবা। যাঁদের কাছে দেনা রয়েছে, তাঁরাই সেদিন ওই বাড়িতে আসেন। তাঁদের নিয়ে নিজের মেয়েকে ওই ব্যক্তি যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার মোট চার অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে তাঁদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, নির্যাতিতার শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।