Adhir Ranjan Chowdhury

Bhabanipur By-Election: হাই কমান্ডের বার্তা পরিষ্কার, কর্মীরাই বুঝে নিন ভবানীপুরে কাকে ভোট দেবেন: অধীর

ভবানীপুরে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। যদিও তাতে সংযুক্ত মোর্চার অভ্যন্তরীণ সমীকরণে কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন বাম নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:৫৭
Share:

ভবানীপুরে কাকে ভোট দেবে কংগ্রেস ফাইল চিত্র।

ভবানীপুর উপনির্বাচন থেকেই কি কংগ্রেস-সিপিএম জোটের শেষের শুরু হয়ে গেল? মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী জানিয়ে দিয়েছিলেন, হাই কমান্ড চাইছে না বলে ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস। এমনকি, সেখানে বাম প্রার্থীর হয়ে প্রচারও করবেন না তাঁরা। এ বার অধীর জানিয়ে দিলেন, হাই কমান্ড কর্মীদের কী বার্তা দিতে চেয়েছেন তা পরিষ্কার। এই বার্তা থেকেই কংগ্রেস কর্মীরা বুঝে নিন তাঁরা কাকে ভোট দেবেন।
বৃহস্পতিবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে অধীরকে ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব যখন বলেছেন ভবানীপুরে প্রার্থী দেবেন না তার মানে আমরা প্রচারও করব না। কংগ্রেস সমর্থকরা যে দলকে খুশি ভোট দেবেন। দলের বার্তা পরিষ্কার। সর্বভারতীয় নেতৃত্ব যখন বলেছেন মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দিও না, তখন দিল্লির বার্তা কংগ্রেস কর্মীদের বোঝা উচিত।’’

Advertisement

কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের এক দিন পরেই অবশ্য ভবানীপুরে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। যদিও তাতে সংযুক্ত মোর্চার অভ্যন্তরীণ সমীকরণে কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন বাম নেতৃত্ব। অধীরের মন্তব্যের জবাবে আনন্দবাজার অনলাইনকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অধীর কংগ্রেসের বড় নেতা। তাঁর দলের কর্মীদের তিনি কী বলেছেন সে বিষয়ে আমরা মন্তব্য করতে পারি না। বিগত বিধানসভায় ভবানীপুর আসন কংগ্রেসের ছিল। কিন্তু আমরা বলেছিলাম তাঁরা প্রার্থী না দিলেও রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনে আমরা প্রার্থী দেব। যাঁরা মনে করবেন তৃণমূল ও বিজেপি-র বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া উচিত তাঁরা আমাদের ভোট দেবেন। আশা করছি, কংগ্রেস কর্মীরাও সেটা বুঝবেন।’’

Advertisement

কংগ্রেস সূত্রে খবর, মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার পিছনে দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাঁদের যুক্তি, প্রার্থী না দেওয়ায় সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী জোটের বার্তা আরও পরিষ্কার ভাবে দেওয়া গেল। কংগ্রেস নিজেদের অবস্থান তৃণমূলকে বুঝিয়ে দিল। এ বার তৃণমূলকে ঠিক করতে হবে তারা কোন দিকে যাবে। প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এখন দেখার কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে রাজ্যে সংযুক্ত মোর্চা এবং দেশে বিজেপি বিরোধী জোটের সমীকরণ কোন দিকে যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement