তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য কটাক্ষ করেছেন, বিজেপির কথা অধীরবাবু বলছেন। বিজেপিই প্রদেশ সভাপতিকে দিয়ে এ সব বলাচ্ছে।
শুধু বিরোধীদের উপরে আক্রমণই নয়। শাসক দলের কর্মী-সমর্থকেরাও এখন নিরাপদ নন এবং তাঁরা বাংলায় সকলের জন্য শান্তি চান বলে দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর মতে, ৩৫৫ ধারা জারি বা অন্য কোনও পথে বাংলায় শান্তি ফেরানো জরুরি।
ছাত্র-নেতা আনিস খানের মৃত্যু এবং ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনার প্রতিবাদে হাওড়ার আমতা থেকে ‘ন্যায় যাত্রা’র ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। ওই পদযাত্রার শেষ দিনে রবিবার প্রথমে হাওড়ার কদমতলা থেকে হাওড়া সেতু পর্যন্ত মিছিল করে কংগ্রেস। তার পরে আবার বড়বাজার থেকে মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তি পর্যন্ত মিছিল হয় অধীরবাবুর নেতৃত্বে। মিছিলে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতোই। পদযাত্রা শেষে মুখ্যমন্ত্রীকেই নিশানা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। রামপুরহাটে গিয়ে যে ভাভে ক্ষতিপূরণের চেক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, সে দিকে ইঙ্গিত করে অধীরবাবু বলেন, ‘‘চাকরি পেতে হলে আগে আপনার পরিবারকে আগুনে জ্বলেপুড়ে মরতে হবে। তার পরে দিদি বলবেন, নাও, এ বার চাকরি নাও!’’ বিজেপির প্রতিও তাঁর কটাক্ষ, ‘‘মোদী দিদির বিরুদ্ধে নন। তাঁরা কখন হাত মিলিয়ে চলেন, বোঝা যায় না!’’
হাওড়ার আনিস এবং বর্ধমানের ছাত্রী তুহিনা খাতুনের প্রসঙ্গও তুলেছেন অধীরবাবু। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আনিসের মৃত্যু গোটা বাংলার বিবেককে জাগ্রত করেছে। একটা গ্রামের সাধারণ পরিবারের ছেলে। নিজে পরিশ্রম করে বড় হতে চেয়েছিল। বাবা, মা, ভাইয়েরা তাঁকে বড় মানুষ করতে চেয়েছিল। এনআরসি নিয়ে যখন দেশ উত্তাল, তখন প্রতিবাদ করেছিল সে। তাই কি তাকে সরিয়ে দেওয়া হল?’’ তুহিনার আত্মহত্যার জন্য শাসক দলের স্থানীয় যে নেতারা দায়ী, তাঁদের শাস্তির দাবি তুলেছেন প্রদেশ সভাপতি। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘তপন কান্দুর হত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা হয়েছে। শুধু সিবিআই হলেই সব হয়ে যাবে, আমরা তা মনে করি না। আমরা চাই, বিচারপতির তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্ত করুক।’’
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য কটাক্ষ করেছেন, বিজেপির কথা অধীরবাবু বলছেন। বিজেপিই প্রদেশ সভাপতিকে দিয়ে এ সব বলাচ্ছে। আর কংগ্রেস শূন্য থেকে মহাশূন্যের দিকে যাচ্ছে। যদিও অধীরবাবু বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস হেরে গেলেও হারিয়ে যায়নি। বিরোধী নেত্রী থাকার সময়ে দিদি কত বার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছিলেন, মনে আছে?’’