চাকরি পেতে হলে এ রাজ্যে আগে পরিবারের লোককে খুন হতে হবে-- এ ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলেছেন অধীর। তিনি বলেন, ‘‘চাকরি পেতে হলে আগে আপনার পরিবারকে আগুনে জ্বলেপুড়ে মরতে হবে। তারপর দিদি বলবেন, নাও এ বার চাকরি নাও।’’
জোড়া মিছিলে পর সভায় বক্তৃতা করছেন অধীর চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র।
শুধু বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের খুন বা তাঁদের উপর আক্রমণের ঘটনায় নয়। তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত তৃণমূলের কর্মীদের জন্যও বিচার চাইছেন তিনি। এ ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রবিবার কলকাতা ও হাওড়ায় দু'টি পৃথক প্রতিবাদ মিছিল করেন তিনি। সকালে হাওড়ার কদমতলা থেকে হাওড়া ব্রিজ। বিকেলে উত্তর কলকাতার মহাত্মা গাঁধী রোডের বাবুলাল ধর্মশালা থেকে ধর্মতলা গাঁধী মূর্তি পর্যন্ত মিছিল করেন বহরমপুরের সাংসদ। এর পরেই বক্তৃতায় আক্রমণ করেন রাজ্য সরকারকে। অধীর বলেন, ‘‘নিজের দলের লোক পানিহাটির কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। তাঁকে খুন করে দাও। কারণ বোর্ড দখল করতে হবে। শুধু আমরা নই, এ ভাবে তৃণমূলের নিজের লোকরাই খুন হয়ে যাচ্ছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তুহিনা খাতুন আমার দলের লোক নয়। তৃণমূলের কর্মী। কিন্তু তৃণমূলের এক দল লোক তাঁর উপর এমন অত্যাচার করেছে, যে সেই মেয়েটি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে।’’
আনিস খান প্রসঙ্গ টেনে বহরমপুরের সাংসদ বলেন, ‘‘আনিসের মতো একটা তরতাজা ছেলে। সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট। প্রতিবাদ করে, প্রতিরোধ করে। সত্য কথা বলে। সেই আনিসের মৃত্যু গোটা বাংলার বিবেককে জাগ্রত করেছে। তার দোষ কী? সে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘একটা গ্রামের সাধারণ পরিবারের ছেলে। নিজে পরিশ্রম করে বড় হতে চেয়েছিল। বাবা, মা, ভাইয়েরা তাঁকে বড় মানুষ করতে চেয়েছিল। এনআরসি নিয়ে যখন দেশ উত্তাল, তখন প্রতিবাদ করেছিল সে। তাই কি তাকে সরিয়ে দেওয়া হল?’’
চাকরি পেতে হলে এ রাজ্যে আগে পরিবারের লোককে খুন হতে হবে-- এ ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলেছেন অধীর। তিনি বলেন, ‘‘চাকরি পেতে হলে আগে আপনার পরিবারকে আগুনে জ্বলেপুড়ে মরতে হবে। তারপর দিদি বলবেন, নাও এ বার চাকরি নাও।’’