aadhaar card

Aadhaar-Ration: অগস্টেই রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বরের যোগ

রাজ্যে ১০ কোটি মানুষের রেশন কার্ড রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় সাড়ে চার কোটি কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বর যুক্ত করার কাজ শেষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২১ ০৫:৫৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযোগ স্থাপনের কাজে গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিল নবান্ন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, অগস্টের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব জেলা প্রশাসনকে। প্রয়োজনে পৃথক ভাবে এই ব্যবস্থা করতে হবে জেলা-কর্তাদের। একই সঙ্গে এ দিন বলা হয়েছে, দু’-এক মাসের মধ্যে অন্তত দু’লক্ষ নতুন স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে জেলাগুলিকে।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, রাজ্যে ১০ কোটি মানুষের রেশন কার্ড রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় সাড়ে চার কোটি কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বর যুক্ত করার কাজ শেষ। এখন প্রতিদিন কমবেশি সাড়ে সাত লক্ষ আধার সংযোগের কাজ হচ্ছে। নবান্নের নির্দেশ, সংখ্যাটা রোজ ১০ লক্ষে নিয়ে যেতে হবে, যাতে অগস্টের মাঝামাঝির মধ্যে তা শেষ করা যায়। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনকে এলাকায় এলাকায় পৌঁছে এই কাজের ব্যবস্থা করতে হবে।

‘এক দেশ এক রেশন’ চালু করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।রাজ্য সেই নির্দেশ পালন করছে। রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযোগের কাজ যত তাড়াতাড়ি শেষ করা যাবে, এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থা চালু করতে ততই সুবিধা হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকে জানাচ্ছেন, আধার সংযোগের সঙ্গে দুয়ারে রেশন প্রকল্পেরও একটা যোগসূত্র থাকতে পারে। কারণ, ওই প্রকল্পে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার কাজ সুষ্ঠু ভাবে করতে হলে আধার যোগ জরুরি। তাই অনেকের ধারণা, এই কাজ শেষ হলেই দুয়ারে রেশন প্রকল্প রূপায়ণের পথে হাঁটবে রাজ্য।

Advertisement

রাজ্য সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল, পাঁচ বছরে অন্তত নতুন ১০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়া হবে। এ দিন জেলা প্রশাসনগুলিকে মুখ্যসচিবের নির্দেশ, তারা যেন আগামী দু’-এক মাসের মধ্যে অন্তত দু’লক্ষ নতুন গোষ্ঠী তৈরিতে উদ্যোগী হয়। প্রশাসন জানিয়েছে, সাধারণত মহিলা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক-একটিতে ন্যূনতম ১০ জন সদস্য থাকেন। প্রথম বছর রাজ্য ১০ হাজার টাকা সাহায্য করে। পরের বছর থেকে সুলভ ঋণের ব্যবস্থা করে দেয় তারা।

এক জেলা-কর্তা বলেন,“যে-সুদ স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিতে হয়, ভর্তুকি বাবদ সেই সুদের টাকাসংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীকে ফিরিয়ে দেয় রাজ্য। ফলে তার কাজকর্মে সুবিধা হয়। নতুন স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়লে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে গ্রামীণ অর্থনীতিতে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement