Adenovirus

অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে সজাগ রাজ্য, তথ্য দিয়ে আশ্বস্ত করল নবান্ন, দায়িত্বে অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা

অ্যাডিনোভাইরাস ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাজ্যে। রবিবার ভোর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নতুন করে আরও ৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বিসি রায় হাসপাতালে। তাদের জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৩ ২২:২০
Share:

অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হতে রাজ্যবাসীকে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতীকী ছবি।

অ্যাডিনোভাইরাস ঘিরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজ্যে। কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে আবার শিশুমৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর হয়েছে নবান্ন। শিশুদের চিকিৎসার জন্য রাজ্য জুড়ে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে অতিরিক্ত বেড। সেই সঙ্গে বিসি রায় হাসপাতালে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের নিযুক্ত করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে নবান্ন।

Advertisement

রবিবার নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য জুড়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যে আড়াই হাজারেও বেশি এসএনএসইউ (সিক নেটাল কেয়ার ইউনিট) বেড রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে ৬৫৪টি পিকু (পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) এবং ১২০টি এনআইসিইউ (নিও নেটাল কেয়ার ইউনিট) বেড। আরও ৭৫টি পিকু বেড চালু করা হয়েছে বিসি রায় হাসপাতালে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের বিসি রায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গত কয়েক দিন ধরেই অ্যাডিনোভাইরাস ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের অসুখে বেশ কয়েক জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ভোর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নতুন করে আরও ৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বিসি রায় হাসপাতালে। তাদের জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ ছিল। ২ মৃত শিশুর পরিবারের অভিযোগ, কী কারণে শিশুদের মৃত্যু হল, তা স্পষ্ট করে জানাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে তাঁদের দাবি, অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে গত ২ মাসে রাজ্যে ৯৪ জন শিশুর মৃত্যু হল। শুধু বিসি রায় হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জন শিশুর। রবিবার মৃত শিশুদের মধ্যে ১ জনের মৃত্যুর শংসাপত্রে মৃত্যুর কারণ হিসাবে ‘অ্যাডিনোভাইরাল নিউমোনিয়া’র কথা বলা হয়েছে।

Advertisement

অ্যাডিনো মোকাবিলায় রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করেছে বলে আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অযথা আতঙ্কিত না হওয়ারও বার্তা দিয়েছেন তিনি। মমতা বলেছেন, ‘‘আমাদের যত্ন নিতে হবে। বাচ্চারা তো মাস্ক পরতে পারে না। তাই বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ির বাইরে না বেরোনোই ভাল।’’ পরিস্থিতির উপর সর্বদা নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। চালু করা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন নম্বর। এই নম্বরটি হল ১৮০০৩১৩৪৪৪২২২।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement