রেশন ডিলারদের চিঠি। ছবি: সংগৃহীত।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধির কারণে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। সেই পরিস্থিতিতে আম জনতাকে সুরাহা দিতে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও বণ্টন মন্ত্রকের মন্ত্রী পীযূষ গয়ালকে বিকল্প প্রস্তাব দিল রেশন ডিলারদের সংগঠন। আকাশছোঁয়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ ও গরিব মানুষকে সুরাহা দিতে রেশন ব্যবস্থাকে ব্যবহার করার জন্য মন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছেন রেশন ডিলারদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন।
তারা পীযূষ গয়ালকে প্রস্তাব দিয়েছে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাজারে সব্জির দাম আকাশ ছুঁয়েছে। তাই সাধারণ মানুষকে অল্প খরচে খাদ্যসামগ্রী দিতে দেশের রেশন দোকানগুলিকে ব্যবহার করা হোক। বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে রেশন দোকান থেকেই খোলা বাজারের থেকে কম দামে ডাল, গম ও ভোজ্যতেল দেওয়া হোক। যাতে দেশের গরিব জনতা এমন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে সহজে কম দামে খাদ্যদ্রব্য পেতে পারেন।
বর্তমান বাজারদর নিয়ে তারা যে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর ও ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (এনএএফইডি)-র কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, তা-ও দেশের খাদ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তারা। এ ক্ষেত্রে রেশন দোকানগুলিকে খাদ্যশস্য দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ঘুরপথ যেন অনুসরণ না করা হয়, সেই বিষয়েও অনুরোধ জানানো হয়েছে খাদ্যমন্ত্রীকে। এ ক্ষেত্রে যদি তা কোনও পাইকারি সংস্থা ও বড় খাদ্যশস্য পণ্য সরবরাহকারী সংস্থাকে দেওয়া হলে, খোলা বাজারের মতোই খাদ্যশস্যের দাম সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে পৌঁছতে অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রেশন ডিলারদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘‘এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ ও গরিব মানুষ খেয়ে পরে বাঁচুক আমরা এটাই চাই। মুনাফা করার সময় অনেক পাওয়া যাবে। কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের যে ভাবে দামবৃদ্ধি হয়েছে, তাতে আমরা চাই রেশন দোকান মারফত কম দামে সবার আগে গরিব মানুষের হাতে খাদ্যশস্য তুলে দেওয়া হোক। আশা করব আমাদের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিবেচনা করে দেখবেন।’’