আদিবাসী মেয়েরা খেলাধুলায় ভালো হয়। গান ও হস্তশিল্পেও তাঁদের প্রতিভা অসামান্য। তাই তাঁদের জন্য ইতিবাচক কিছু কাজ করতে চান মেদিনীপুরের তৃণমূলের অভিনেত্রী-বিধায়ক জুন মালিয়া। সরকারি সুযোগ সুবিধা তাঁদের কাছে পৌঁছে দিতে তৎপর হয়েছেন তিনি। মেদিনীপুরের বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর বিধানসভার তিনটি কমিটিতে স্থান পেয়েছেন জুন। তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের স্ট্যান্ডিং কমিটি (ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতর), নারী শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের স্ট্যান্ডিং কমিটি রয়েছেন তিনি। সঙ্গে রাখা হচ্ছে এস্টিমেট কমিটিতেও।
এমনিতেই নির্বাচিত বিধায়কদের (মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রী বাদে) ২-৩টি কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দলের আবেদন মতোই বিধায়কদের কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও বিধায়ক যদি কোনও নির্দিষ্ট কমিটিতে জায়গা পেতে অনুরোধ করেন, তবে তাঁকেও সেই কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনও আবেদন না করেই কাজ করার মতো সুযোগ পেয়েছেন জুন। বিধানসভার এই কমিটিগুলিকে কাজে লাগিয়েই গ্রামীণ এলাকার নারীক্ষমতায়নের জন্য কাজ করতে চান তিনি।
পিছিয়ে পড়া জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর আসন থেকে বিধায়ক হয়েছেন জুন। সেখানে গিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই বুঝেছেন সেখানকার নারীশক্তির ক্ষমতায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা। তাই নিজের বিধায়কপদ কাজে লাগিয়ে সে বিষয়ে আদিবাসী মহিলাদের এগিয়ে আনার লক্ষ্যেই কাজ করতে চান জুন।
অভিনেত্রী বিধায়ক বলছেন, ‘‘আমি আদিবাসী মেয়েদের জন্য ভাল কিছু করার কথা ভাবছি। ওদের প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। খেলাধুলোর দিক থেকে যেমন বলতে পারো, আবার হস্তশিল্পের দিক থেকেও তাঁরা যথেষ্ট সম্ভাবনাময়। সঙ্গীতের ক্ষেত্রে, যেমন লোকগীতির ক্ষেত্রেও তাঁদের প্রতিভা অসামান্য। বিধানসভার সেই সংক্রান্ত কমিটিতেই রয়েছি, যেখানে এই সব বিষয়ে আলোচনা করে কাজ করতে সুবিধা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার বিধানসভা এলাকার অধীন ৯টি অঞ্চল রয়েছে। আদিবাসী ভাইবোনরা রয়েছেন। এক্ষেত্রে মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যেই আমরা কাজ করব। বৈঠক শুরু হলে কাজে গতি আনতে পারব।’’ মহিলা ও শিশু কমিশনে দীর্ঘ সময় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে জুনের। নিজের সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চান তিনি।