রাজনীতিকে বিদায় কাঞ্চনার। — ফাইল চিত্র।
আর বিজেপি করবেন না। রাজনীতিও নয়। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে রাজনীতি থেকে ‘সন্ন্যাস’ নিলেন অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র। কারণ, বিজেপি করবেন না জানালেও তিনি তৃণমূল বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে আদৌ যোগ দেবেন কি না তা জানাননি। কেন ছাড়লেন তা নিয়ে সুকান্তকে জানিয়েছেন, পরিবারকে সময় দেওয়ার জন্যই রাজনীতির ময়দানে থাকতে চাইছেন না। সংবাদমাধ্যমকে একই কথা বললেও তাতে বিজেপিকে নিয়ে মোহভঙ্গের ইঙ্গিতও রয়েছে। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘রাজনীতিতে সময় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাই এই সিদ্ধান্ত। আরও বেশি কাজ করতে চাই”। শুধুই কাজ? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নে হাসতে হাসতে বলেন, ‘‘আমার নীরবতা যাঁরা বুঝতে পারবেন, তাঁরা নিজেরাই বুঝে নেবেন কেন দল ছাড়লাম।”
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি ১৮ আসনে জয়ের পরে গেরুয়া শিবিরে যোগদানের হিড়িক পরেছিল। অভিনয় জগতের অনেকেই যোগ দিয়েছিলেন। সেই তালিকায় ছিলেন কাঞ্চনাও। ১৮ জুলাই বিজেপির দিল্লি দফতরে গিয়ে একসঙ্গে ১১ জন অভিনেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। পার্নো মিত্র, ঋষি কৌশিক, অরিন্দম হালদার, সৌরভ চক্রবর্তী, রূপাঞ্জনা মিত্রের সঙ্গে ছিলেন কাঞ্চনাও। স্বাগত জানাতে দিল্লি দফতরে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সেই সময়ের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়।
যেমন ঘটা করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন কাঞ্চনা তেমনটা দল ছাড়ার দিনে দেখা গেল না। ফেসবুকে কাঞ্চনা লিখেছেন, ‘‘কাজ ও পরিবারকে সময় দিতে চাই। তাই দল ও রাজনীতিকে আপাতত বিদায় জানালাম।’’ একই কথা জানিয়েছেন সুকান্তকেও। বিজেপির তরফে এ নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। তবে রাজ্য বিজেপির দাবি, কাঞ্চনা দলে থাকলেও কাজে ছিলেন না। কোনও পদও ছিল না। যেটুকু যোগাযোগ ছিল তা দলের সাংস্কৃতিক শাখার সঙ্গে। প্রসঙ্গত, বিজেপি গত বিধানসভা নির্বাচনে অভিনয় জগতের অনেককে প্রার্থী করলেও কাঞ্চনা সেই সুযোগ পাননি।