Jadavpur University Student Death

‘এরা সাইকো পেশেন্ট, খুনি, পাবলিকের হাতে তুলে দেওয়া উচিত’! যাদবপুরকাণ্ডে মন্তব্য বিধায়ক সোহমের

সোহম বলেন, “যাদের মানসিকতা এমন, যে জুনিয়ররা এলেই অত্যাচার করতে হবে, না। কিন্তু, ঘটনা দেখে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইন হাতে নিতে পারি মনে হচ্ছে, এদের পাবলিকের হাতে তুলে দেওয়া উচিত।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২৩ ১৬:৩৭
Share:

সোহম চক্রবর্তী। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

যারা র‌্যাগিং করে তাঁরা মানসিক বিকারগ্রস্ত রোগী। তাঁদের বিচার করতে পাবলিকের হাতে তুলে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন অভিনেতা তথা চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। বুধবার বিধানসভায় বিশেষ কাজে এসেছিলেন তিনি। টলিউডের এই ব্যস্ত নায়ককে যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, “যাদবপুরের ঘটনার পর থেকেই আমি প্রচণ্ড রকমের শকড। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এরা যাতে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।” সোহম আরও বলেন, “এক জন নাগরিক হিসাবে আমি বলব, আমরা সকলেই ছাত্রজীবন অতিক্রম করে এসেছি। পরে আমরা ছাত্রজীবন শেষ করে যে যার বিভাগে দাঁড়িয়েছি। এই ক্রিমিনালরা ছাত্র নামের ভেক ধরে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য থেকে যায়।”

Advertisement

ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রুপোলি পর্দার নায়ক বলেছেন, “আসলে এরা সাইকো পেশেন্ট। র‌্যাগিং এমন বিষয় নয়, যা বাধ্যতামূলক ভাবে করতেই হবে। তবেই আমি দেশ উদ্ধার করতে পারব, বিষয়টা এমন তো নয়। আজ যেমন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রটি মারা গেল। এর আগেও বহু ছাত্র এই র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়ে মারা গিয়েছেন। তাও হয়েছে এই সাইকো কিলারদের জন্যই।” তাঁর আরও বক্তব্য, “সব ক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কঠোর থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। বহিরাগতরা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও অংশে ঢুকতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। যাঁরা পাশ করে বেরিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছেড়ে বেরিয়ে যান, তা-ও দেখতে হবে।”

সোহম বলেন, “যাদের মানসিকতা এমন যে জুনিয়ররা আসলেই তাদের ওপর অত্যাচার করতে হবে, আমরা জানি তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইন হাতে নিতে পারি না। কিন্তু, ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে, এদের পাবলিকের হাতে তুলে দেওয়া উচিত।” তিনি আরও বলেন “এটা আমাদের লজ্জা। এরা তো মুষ্টিমেয়। এরাই গোটা ছাত্রসমাজকে কালিমালিপ্ত করছে। এই অপরাধীদের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যাতে এর পর কেউ র‌্যাগিং করতে এলেও যেন তাকে পিছু হটতে হয়। সবার মনে থাকবে যে, আমি র‌্যাগিং করলে আমারও শাস্তি হতে পারে।” এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের সব বিদ্বজ্জনকে পথে নামার অনুরোধ করেছেন এই অভিনেতা-রাজনীতিক।

Advertisement

অন্য দিকে, যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে বুধবার তমলুকে সাংবাদিক সম্মেলনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ভাইস চ্যান্সেলরের কলার ধরে রাস্তায় বার করে আনা উচিত। ভিসি, প্রো ভিসি, রেজিস্ট্রার—এঁরা সবাই তৃণমূলের ক্যাডার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement