যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত অসিত সর্দার (বাঁ দিকে) এবং তাঁর মা। — নিজস্ব চিত্র।
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর দিনই বাড়ি চলে এসেছিলেন। কিন্তু আবার পড়াশোনা সংক্রান্ত কোনও কাজে কলকাতা গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফিরে আবার কলকাতা চলে গিয়েছিলেন অসিত সর্দার। বুধবার সেই যাদবপুরের প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। যাদবপুরকাণ্ডে বুধবার অসিতের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন আরও পাঁচ জন। যাঁদের মধ্যে তিন জন বর্তমান পড়ুয়া এবং বাকিরা প্রাক্তনী। কিন্তু সবাই মেন হস্টেলেই ছিলেন। অসিতের মায়ের দাবি, তাঁর ছেলে নির্দোষ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির বাসিন্দা অসিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত নিয়ে পড়াশোনা করতেন। পাশও করে গিয়েছেন। কিন্তু তিনি হস্টেলে থাকতেন। তাঁর পরিবার বলছে, পড়াশোনার জন্যই সেখানে ছিলেন। বুধবার ছেলের গ্রেফতারির খবর পেয়ে অসিতের মা সুমিত্রা সর্দার বলেন, ‘‘বাড়িতে কয়েক দিন ছিল। কী একটা বই হারিয়ে গিয়েছে বলল। ওই সব জমা দিতে কলকাতা গিয়েছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই ঘটনার পর (ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা) বাড়ি চলে এসেছিল। ওখানে নাকি থাকতে দেয়নি বলল।’’ তিনি আরও জানান, এর পরে আবার অসিত কলকাতা এসেছিলেন। তার পর আবার মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি। জানান, তাঁকে যাদবপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আবার যেতে হবে। এই বলে রাতেই ঘুম থেকে উঠে চলে যান কলকাতা। তার পরেই ছেলের গ্রেফতারির খবর পেয়েছেন তিনি।
হস্টেলের কোনও ঘটনা, কোনও গল্প অসিত বাড়িতে করতেন না বলে দাবি তাঁর মায়ের। তবে তাঁর ছেলে র্যাগিং করতে পারে— এটা ভাবতেই পারেন না অসিতের মা। তিনি জোরের সঙ্গে বলেন, ‘‘ও এমন কিছু করতেইই পারে না। আমার ছেলে জড়িত নেই ও সবে। আমার ছেলে নির্দোষ।’’
অসিতের মায়ের আরও দাবি, ছেলেকে দেখে বুঝতেই পারেননি যে তাঁকে পুলিশ ডেকে পাঠিয়েছে। বাড়িতে এসেও হাসিখুশি ছিলেন। মহিলার কথায়, ‘‘গত কাল বাড়ি এল। সবার সঙ্গে কী হাসি-আমোদ। এই এই হয়েছে (বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা)। এর বেশি তো কিছু জানি না।’’ এমনকি, অসিত যাদবপুরের মৃত ছাত্রের গল্পও করেছেন পরিবারের সঙ্গে। জানিয়েছেন সে দিন রাতের কথা। বলেছেন, কী ভাবে তড়িঘড়ি সবাইকে হস্টেল ছাড়তে হয়।
সে দিনের ঘটনার সময় কোথায় ছিলেন অসিত? সুমিত্রার কথায়, ‘‘ছেলে বলল, ওরা তখন রুমে (হস্টেলের ঘরে) ছিল। ও কিচ্ছু জানে না বলল।’’