ফাইল চিত্র।
বিজেপি এ রাজ্যে ক্ষমতায় এলে দলে যোগ দেওয়া অপরাধীদের ক্ষমা করা চলবে না— বিধানসভা ভোটের তিন মাস আগেই এই মর্মে দলকে সচেতন করে দিলেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। কলকাতার আইসিসিআর-এ সোমবার ‘পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ— আগামী পথ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় স্বপনবাবু ব্যাখ্যা করেন, এ রাজ্যে শিল্পায়নের জন্য চাই সুস্থ পরিবেশ, আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে আপস না করা এবং সব বিষয়ে রাজনীতিকরণের অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা। এই প্রসঙ্গেই স্বপনবাবুর মন্তব্য, ‘‘আমরা রাজ্যে সরকারে এলে দু’-একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেমন— আইনশৃঙ্খলার অবনতি কোনও ভাবেই হতে দেওয়া চলবে না। কোনও গরু পাচারকারী যদি বলে, আমি তো গত মাসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি, তখন কিন্তু মানলে চলবে না।’’ স্বপনবাবু আরও বলেন, ‘‘যাঁরা একটু বেশি রাজনীতি করেন, তাঁরা বলবেন, বাম এবং তৃণমূল জমানার পরে তাঁদের সুযোগ পাওয়া উচিত। কিন্তু সেই সুযোগ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে হবে।’’
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, বাবুল সুপ্রিয় এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় ওই আলোচনাসভায় অভিযোগ করেন, তৃণমূল সরকারের জমি নীতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং ভয়ের বাতাবরণ এ রাজ্যে শিল্প না আসার কারণ। এই প্রেক্ষিতেই তাঁদের আহ্বান, ‘‘কেন্দ্রের মতোই এ রাজ্যেও নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার গড়ুন। তা হলেই সব সমস্যা মিটবে। শিল্পও আসবে।’’ জবাবে তৃণমূলের মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায়ের কটাক্ষ, ‘‘অনুরাগ তো ‘গোলি মারো সালোকো...’ হুমকির জন্য পরিচিত। শিল্প, সংস্কৃতি, উন্নয়নের সঙ্গে ওঁদের পরিচয় নেই। এ রাজ্যে ঢুকতে পারার জন্য ওঁর কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।’’ এ দিনই অনুরাগ কলকাতায় জিএসটি ভবনে ঢোকার সময় তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বামপন্থী কর্মীরা। তাঁকে কালো পতাকাও দেখানো হয়। সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী পরে বলেন, ‘‘কৃষি আইন, জিএসটি ইত্যাদি যা যা করে দেশের সর্বনাশ করা হচ্ছে, সে সব প্রত্যাহারের দাবিতে আমাদের কর্মীরা অনুরাগকে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ তাঁদের আটকাতে অতি সক্রিয় ছিল।’’