গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কেবল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তই নন, রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলার তদন্তে তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন। ইডি সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, যে ৫০ জন তাদের আতশকাচের তলায় রয়েছেন, তাঁদের কাছে ঘুরপথে রেশন ‘দুর্নীতি’র টাকা যাওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে ওই সন্দেহভাজনদের ব্যাঙ্কের কাগজপত্র-সহ অন্যান্য নথি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত মিললে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর।
এর আগে গত ৫ জুন রেশন দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল ঋতুপর্ণাকে। কিন্তু ওই দিন তিনি হাজিরা দেননি। সূত্র মারফত জানা যায়, বিদেশে থাকার কারণে ইডি দফতরে যেতে পারেননি ঋতুপর্ণা। এ কথা তিনি ইডি আধিকারিকদের ইমেল করে জানিয়ে দেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যায়, তাঁকে পরে আবার ইডি দফতরে যেতে বলা হয়েছে। রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া এক অভিযুক্তের সঙ্গে ঋতুপর্ণার আর্থিক লেনদেনের তথ্য তদন্তকারীরা হাতে পেয়েছেন বলে দাবি করেন এক ইডি আধিকারিক। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে সবিস্তারে কিছু জানায়নি ইডি। ওই সূত্র মারফত আরও জানা যায়, প্রায় কোটির অঙ্কে আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে জানতেই ঋতুপর্ণাকে তলব করা হয়েছে।
ইডির তলব প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, “রেশন দুর্নীতি কী, সে সম্পর্কে আমার কোনও সম্যক ধারণা নেই। আচমকাই এই খবর পেলাম।’’ একই সঙ্গে ঋতুপর্ণা দাবি করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য, রেশন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান-সহ শাসকদলের কয়েক জন নেতা ও তাঁদের ঘনিষ্ঠকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ইডি। রেশন দুর্নীতির তদন্তেই সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়ে গত ৫ জানুয়ারি আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকেরা।