ফাইল চিত্র।
চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির লক্ষ্যে সে দেশের প্রেসিডেন্ট শি শিনফিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সঙ্ঘ শিবিরের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) দীপাবলিতে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে পথে নেমেছে।
মাত্র দু’সপ্তাহ আগে তামিলনাড়ুর মমল্লপুরমে চিনা প্রেসিডেন্ট শিনফিংয়ের সঙ্গে দু’দিনের বৈঠক সেরেছেন মোদী। সেখানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারতের ঘাটতি কমানোর একটি নতুন বন্দোবস্ত তৈরির সিদ্ধান্তও হয়েছে। অথচ দীপাবলির সময়ে সেই চিনেরই পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে এবিভিপি!
আম জনতার কাছে ওই ছাত্র সংগঠনের আবেদন— চিনা পণ্য বয়কট করে দেশজ দ্রব্য ব্যবহারের মাধ্যমে দীপাবলি উৎসব পালন করা হোক। এই আবেদনের প্রচারে শনিবার কলকাতার আহিরিটোলায় গঙ্গার ঘাটে এক হাজার আটটি প্রদীপ জ্বালিয়ে দীপ উৎসব করা হয়েছে। এবিভিপি-র যুক্তি, চিনা পণ্য ভারতের বাজার ছেয়ে ফেলেছে। গত কয়েক বছর ধরে দীপাবলিতে ভারতের বাজারে চিনা বাজি এবং আলোর রমরমা। এর ফলে এ দেশের মানুষের টাকায় চিনের লাভ হচ্ছে এবং সেই টাকা দিয়ে তারা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত-বিরোধিতায় মদত দিচ্ছে। সুতরাং, দেশীয় মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে দীপাবলি উৎসব পালন করা হলে বিদেশের নয়, দেশের অর্থনীতি মজবুত হবে।
তা হলে কি এবিভিপি মোদী সরকারের চিনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার নীতির বিরোধী? ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র সপ্তর্ষি সরকার বলেন, ‘‘আমরা মোদী সরকারের ওই নীতির বিরোধী নই। সরকার তার কাজ করছে। সরকারি অবস্থান থেকে কখনওই চিনের সঙ্গে বাণিজ্য না করার কথা বলা সম্ভব নয়। কিন্তু সরকার সব করতে পারে না। সমাজেরও কিছু কাজ থাকে। সেটা আমরা করছি। মানুষকে সচেতন করছি, যাতে তাঁরা নিজেদের টাকা দিয়ে চিনের অর্থনীতিকে মজবুত না করেন।’’ কিন্তু শস্তায় রকমারি পণ্য পেলে মানুষ তা কিনবেন এবং ‘স্বদেশি যুক্তি’তে তা কী ভাবে ঠেকানো সম্ভব, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।