শাহকে আবারও আক্রমণ অভিষেকের। ফাইল চিত্র।
কয়লা-কাণ্ডে মঙ্গলবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তলবের নোটিস পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে লক্ষ্য করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক টুইটারে লিখলেন, ‘ইডির সঙ্গে পুতুল খেলার বদলে বাংলার শাসনব্যবস্থা থেকে শিক্ষা নিন।’
‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’(এনসিআরবি)-র একটি পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে টানা দু’বছর ধরে কলকাতা ‘নিরাপদ শহর’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এনসিআরবি-র সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরে মঙ্গলবার শাহকে বিঁধলেন তৃণমূলের ‘সেনাপতি’।
ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক টুইটারে লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে দু’টি কাজ রয়েছে। বাড়িতে ছেলেকে জাতীয়তাবাদ শেখানো ও তাঁর মন্ত্রকের অধীনে পুলিশকে সাজানো। দিল্লিতে অপরাধের হার আমাদের সকলকে হতবাক করেছে। ইডির সঙ্গে পুতুল খেলার বদলে বাংলার শাসনব্যবস্থা থেকে ওঁর শিক্ষা নেওয়া উচিত।’
বস্তুত, কয়লা পাচার-কাণ্ডে আগামী শুক্রবার অভিষেককে আবারও ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। এই আবহে এনসিআরবির তথ্য উল্লেখ করে ইডির প্রসঙ্গ টেনে যে ভাবে শাহকে আক্রমণ করলেন অভিষেক, তা তাৎপর্যপূর্ণ।
সোমবার ধর্মতলার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবসের কর্মসূচি থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘অভিষেককে হয়তো আবার নোটিস পাঠাবে ওরা।’’ অভিষেকও বলেছিলেন, ‘‘কিছু ঘটবে।’’ পরের দিনই অভিষেককে ইডির তলব আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।
সোমবারও অমিত শাহের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন অভিষেক। রবিবার এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যায়, শাহ-পুত্র তথা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহের পাশে দাঁড়ানো এক ব্যক্তি তাঁর দিকে জাতীয় পতাকা বাড়িয়ে দেন। কিন্তু পতাকাটি হাতে নেবেন না, এটা বোঝাতে মাথা নাড়িয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন। ওই ভাইরাল ভিডিয়োকে হাতিয়ার করে আসরে নামেন অভিষেক। প্রথমে টুইটে এ নিয়ে শাহের বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এর পর মেয়ো রোডের কর্মসূচি থেকে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা দেখেছেন, এশিয়া কাপে ভারত জেতার পরে অমিত শাহ, যিনি সারা ভারতবর্ষকে দেশপ্রেম শেখান, ‘ঘর ঘর তিরঙ্গা’র কথা বলেন, সেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পুত্র বলছেন, ভারতের পতাকা আমি হাতে ধরব না! আমি অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ করছি, আপনি নিজেকে ভাবেন কী? দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদের রক্ষাকর্তা? ধারক ও বাহক? আপনার হৃদয়, বিবেক, মস্তিষ্কে যদি ভারতের প্রতি ন্যূনতম সম্মান থাকে, তা হলে আপনি হয় আপনার পুত্রকে ত্যাজ্যপুত্র করবেন, নইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।’’