অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
মাঝে পেরিয়েছে ৮টা বছর। বদলেছে পরিস্থিতি, তাঁর ভূমিকাও।
২০১৫ সালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন দলের যুব সভাপতি। এখন তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূলের সেই শীর্ষ নেতাই দলীয় কর্মসূচিতে বুধবার রাত কাটাচ্ছেন পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের সেই ফুটবল ময়দানে, যেখানে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে দলীয় সভামঞ্চে তাঁকে চড় খেতে হয়েছিল।
তৃণমূলের ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচিতে বুধবার অধিবেশন শিবির হয়েছে চণ্ডীপুরের বিনয় স্মৃতি ফুটবল ময়দানে। সেখানেই পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছতে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার ভোটাভুটি হয়। অভিষেকের রাত্রিবাসের আয়োজনও সেখানেই। সার দিয়ে পড়েছে তাঁবু।
এই মাঠই উস্কে দিচ্ছে অতীত। ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি চণ্ডীপুর ফুটবল ময়দানে সভা করতে এসেছিলেন তৎকালীন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক। সেই মঞ্চে উঠে আচমকা অভিষেককে চড় মারেন দেবাশিস আচার্য নামে স্থানীয় এক যুবক। গোটা রাজ্যে তোলপাড় পড়ে যায়। তখন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে সরিয়েই যুব সভাপতি হয়েছিলেন অভিষেক। ওই ঘটনার পরে জানা যায়, দেবাশিস মানসিক ভারসাম্যহীন। পরে দুর্ঘটনায় মৃত্যুও হয়েছে ওই যুবকের।
আট বছর পরে সেই মাঠে অভিষেকের কর্মসূচি ঘিরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে। অতীত টেনে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র বলছেন, ‘‘আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হারতে শেখেননি। তাই তিনি একই মাঠে সভা এবং রাত্রিবাস করছেন।’’ তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘এখানে তৃণমূলের অন্দরে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। এই মাঠে পূর্বের স্মৃতি রয়েছে। দলের কেউ যাতে আবার দুর্ঘটনা না ঘটায়, তাই নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে চারদিক।’’