মুকল রায়কে মেড ইন চায়না বলে কটাক্ষ অভিষেকের। —ফাইল চিত্র।
ভয় আর সন্ত্রাসের মুখে যাঁরা দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন, তাঁরা ফিরে আসছেন। শনিবার কাঁচরাপাড়ার দলত্যাগী কাউন্সিলরদের দলে ফিরিয়ে এই মন্তব্য করলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিতে যাওয়া কাউন্সিলরদের ‘ঘরওয়াপসি’র ফলে কাঁচরাপাড়া পুরসভায় ফের সংখ্যাগরিষ্ঠ হল তৃণমূল।
২৪ আসনের কাঁচরাপাড়া পুরসভায় ১৫ জন কাউন্সিলর বিজেপিতে চলে যাওয়ায় বোর্ড তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছিল। লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর দু’দিন পরই দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় অফিসে তাঁদের দলবদল করিয়েছিলেন মুকুল রায়। সেই সঙ্গেই সংখ্যার বিচারে পুরসভার ‘দখল’ নেয় বিজেপি।
চলতি সপ্তাহেই দলত্যাগী সেই কাউন্সিলরদের ৫ জন ফিরে আসেন তৃণমূলে। এদিন আরও ৯ জন দলে ফিরেছেন। তাঁদের সঙ্গে তৃণমূলে এসেছেন কাঁচরাপাড়ার একমাত্র নির্দল কাউন্সিলরও। তৃণমূল ভবনে তাঁদের হাতে পতাকা দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘বিজেপি নেতাদের কাছে নম্বর বাড়াতে ভয় দেখিয়ে এই কাউন্সিলরদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁরা ফিরে এলেন।’’ সেই সঙ্গেই মুকুলবাবুকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘দলবদলের জন্য যাঁকে চাণক্য বলা হচ্ছিল, দেখা গেল সেই চাণক্য আসলে মেড ইন চায়না!’’
কাঁচরাপাড়া মুকুলবাবুর নিজের জায়গা। এখানকার বিধায়ক তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায়ও ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই সেই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান সহ দলত্যাগী কাউন্সিলরেরা দলে ফিরে আসায় স্বস্তি পেয়েছে তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে পাশে বসিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের পর কয়েক দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ছিল। সেই সুযোগ নিয়ে বিজেপি এই কাউন্সিলরদের দলে নিয়েছিল। তাঁরা ফিরে আসায় কাঁচরাপাড়া পুরসভায় তৃণমূল এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ।’’
এই অবস্থায় হারানো জমি ফিরে পেতে তৃণমূলের এই ‘সাফল্য’ অবশ্য মানতে রাজি নন মুকুল। তিনি বলেন, ‘‘কাউন্সিলরদের ফিরে যাওয়া আসলে বিজেপির রণকৌশল।’’ এদিন হালিশহরের এক দলত্যাগী কাউন্সিলরও তৃণমূলে ফিরে এসেছেন।