রবিবার দিল্লি যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘যাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ, কাগজ মুড়িয়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের সিবিআই ইডি ডাকে না। তখন ওঁদের চোখে ছানি পড়ে যাচ্ছে।এই কারণেই তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।’’
ফাইল চিত্র।
কয়লা-কাণ্ডে ইডির সমনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁদের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ইডির সমন পেয়ে রবিবারই দিল্লিতে পৌঁছে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। যাওয়ার আগে আবার এক বার বিজেপি-র বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগে সরব হন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির নিরপেক্ষতা নিয়েও। বিমানবন্দরেই তিনি ইঙ্গিত দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। সোমবার তিনি শীর্ষ আদলতে আবেদন করেন।
রবিবার দিল্লি যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে অভিষেক বলেন, ‘‘যাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ, কাগজ মুড়িয়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের সিবিআই, ইডি ডাকে না। তখন ওঁদের চোখে ছানি পড়ে যায়। এই কারণেই তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এদের গাত্রদাহ কেন? কারণ এরা বাংলায় হেরেছে। গত বছর এদের আমরা ল্যাজেগোবরে করেছি। বাংলার মানুষ বহিরাগতদের তাড়িয়েছে। বাংলার মানুষ মেরুদণ্ড বিক্রি করেনি বলে গায়ে জ্বালা।’’
প্রসঙ্গত, এর আগে তিনি দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন। অভিষেকের কথায়, ‘‘দীর্ঘ দিন শুনানির পর তিন মাস রায় স্থগিত রাখা হয়েছিল। গত ১০ তারিখ চার রাজ্যে নির্বাচনে বিজেপি জেতার পর ১১ তারিখ আমার পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।’’
গত বুধবার স্বরাষ্ট্র দফতরের বাজেট বক্তৃতার মাঝে সস্ত্রীক অভিষেককে দিল্লিতে ডেকে পাঠানোর বিষয়টিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।