ইডি দফতর থেকে বেরোনোর পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
সাড়ে ৮টা ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর দিল্লির ইডি দফতর থেকে বেরোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘আমাকে দ্বিতীয় বার ডেকে পাঠানো হয়েছিল। দেড় বছর আগে যা বলেছিলাম, এখনও ওই অবস্থানেই অনড় আমি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ করব।’’ ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ স্পষ্ট বলেন, ‘‘ইডি, সিবিআই-এর কাছে আমি মাথা নত করব না।’’
জেরায় অভিষেকের থেকে বেশ কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। তা তিনি জোগাড় করে দিয়ে দেবেন বলে বেরিয়ে এসে জানালেন অভিষেক। এর পরেই নাম না করে বিজেপি-কে হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘ইডি, সিবিআই-কে কাজে লাগিয়ে যাঁরা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইছে, তাঁদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, আমি অন্য মেটিরিয়াল। এ সব যত করবেন, আমি তত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হব, তত নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকব।’’
পাশাপাশিই, অভিষেক বলেন, ‘‘বিচারব্যবস্থার উপর আমি আস্থাশীল। আমি তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতাই করছি। ওঁরা ওঁদের কাজ করছেন। আবার ডাকলে আবার আসব। কিন্তু যাঁদের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ, প্রমাণ রয়েছে, তাঁদের ক’জনকে ডাকছে ইডি, সিবিআই। যাঁদের বিরুদ্ধে সারদার কর্ণধার লিখিত অভিযোগ করেছেন, যাঁদের কাগড়ে মুড়িয়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের কেন ডাকা হচ্ছে না? আমি আজ বিরোধী দলে আছি বলেই আমাকে ডাকা হচ্ছে। যাঁরা বিজেপি করেন, তাঁদের ডাকা হবে না। এ সব ধাপ্পাবাজি বেশি দিন চলবে না।’’
বিজেপি-কে অভিষেকের কটাক্ষ, ‘‘গণতান্ত্রিক ভাবে এরা ভোটে লড়তে পারে না। তাই আপনারা দেখবেন, নির্বাচন-উপনির্বাচন এলেই এরা হেনস্থা করতে চায়। এখন আসানসোল আর বালিগঞ্জে উপনির্বাচন রয়েছে। বাংলায় হেরেছে বলে ইডি, সিবিআই দিয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছে।’’
অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘কয়লা পাচার, গরু পাচার আবার কী! গরু তো কোনও পোকামাকড় নয়। বড় প্রাণী। সীমান্তরক্ষীদের নজর এড়িয়ে গরু ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হলে তা দায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। কয়লা চুরি হলে তার দায় সিআইএসএফ-এর। যারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে কাজ করে। এটা তো হোম মিনিস্টার স্ক্যাম।’’