প্রতীকী ছবি।
সম্প্রতি টাকা দিয়েও চাকরি না পেয়ে আব্দুর রহমান নামে এক যুবকের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদের লালগোলায়। ফের চাকরির আশায় টাকা দিয়ে ‘প্রতারিত’ হলেন জেলারই একদল যুবক। অভিযোগ, নিজেকে রাজ্যের শাসক দলের বিধায়কের আপ্ত-সহায়ক দাবি করে তাঁদের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়েছেন এক ব্যক্তি। চাকরি না পেয়ে বৃহস্পতিবার বহরমপুরে অভিযুক্তের ভাড়া বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান ‘প্রতারিত’ যুবকেরা। তবে এ নিয়ে এখনও থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযুক্তেরও খোঁজ নেই।
ওই যুবকদের দাবি, রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলমের আপ্ত-সহায়ক বলে তাঁদের কাছে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। বিধায়কের সঙ্গে নিজের ছবিও দেখান। অভিযোগ, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে অন্তত ৫০ জনের কাছ থেকে তিনি প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়েছেন। এ দিকে, কিছু দিন ধরেই তাঁর খোঁজ নেই। তাঁর মোবাইল ফোনটিও ‘সুইচড অফ’। এর প্রেক্ষিতে এ দিন ওই যুবকেরা অভিযুক্তের ভাড়া বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ। ‘প্রতারিতদের’ অন্যতম রাজু শেখ বলেন, ‘‘২০১৬ সালে ওর সঙ্গে পরিচয়। স্বাস্থ্য বিভাগে চতুর্থ শ্রেণির পদে চাকরি দেওয়ার নামে আমার কাছ থেকে সাত লক্ষ টাকা নিয়েছে সে। আমাদের কয়েক জনকে একাধিক বার ও নবান্ন-সহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়।’’
ঘটনা নিয়ে রবিউলের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমার কোনও আপ্ত-সহায়কই নেই। ওর (অভিযুক্ত) সঙ্গে আমার ট্রেনে কলকাতা যাওয়ার পথে আলাপ হয়েছিল। আমার ছেলের কাছ থেকেও সে চাকরি দেওয়ার নাম করে দু’ লক্ষ টাকা নিয়েছিল।’’ একটি সঞ্চয় প্রকল্পের নাম করে তাঁর কাছ থেকেও এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা অভিযুক্ত নিয়েছেন বলে বিধায়কের দাবি। বিষয়টি পুলিশকে জানাননি কেন? রবিউলের জবাব, ‘‘তখন কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলাম। ওকে খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। তাই অভিযোগ করা হয়নি। এ বার অভিযোগ করব।’’ তৃণমূলের বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান আবু তাহের খান বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি আমাদের বিধায়কের আপ্ত-সহায়ক নয়। পুলিশ ওকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক।’’ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ করা হবে।