উপাচার্যকে নালিশ ছাত্রীর
Jadavpur University

Jadavpur University: টাকা পেলে যাদবপুরে স্নাতক-স্নাতকোত্তর স্তরে প্রাপ্ত নম্বর, গ্রেড বদল হচ্ছে দেদার!

ওই ছাত্রীর অভিযোগ, দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সিমেস্টারে একটি পত্রে পাশ করতে না-পেরে তিনি আবার পরীক্ষা দেন, পাশও করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২২ ০৭:১৯
Share:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র।

স্কুলশিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেছে বেছে কিছু প্রার্থীকে বাড়তি নম্বর কেন, শুধু চাকরিপ্রার্থী বা আমজনতা নয়, সেই প্রশ্ন তুলেছে আদালতও। সেটা স্কুল স্তরের ব্যাপার, যে-স্তরে ঘুরপথে নিয়োগ নিয়ে বাংলায় এখন তুমুল আলোড়ন। তারই মধ্যে অভিযোগ, টাকা পেলে স্নাতক-স্নাতকোত্তর স্তরেও প্রাপ্ত নম্বর, গ্রেড বদলও হচ্ছে দেদার। এমনকি সাপ্লিমেন্টারির পরে আবার পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলে গ্রেড কার্ডে তা বদলাতেও চাওয়া হচ্ছে টাকা। এবং এই অভিযোগ উঠছে বাংলা তথা দেশে উচ্চশিক্ষার অগ্রণী প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশেষ করে আঙুল উঠছে সেখানে ফলপ্রকাশের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এক জনের বিরুদ্ধে।

Advertisement

গ্রেড কার্ডে নম্বর বদল করতে গিয়ে তিনি কী ধরনের হেনস্থার মুখে পড়েছেন, উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে তা লিখিত ভাবে জানিয়েছেন যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। চিঠিতে তিনি টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন এবং চিঠির প্রতিলিপি পাঠান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দফতরেও।

ওই ছাত্রীর অভিযোগ, দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সিমেস্টারে একটি পত্রে পাশ করতে না-পেরে তিনি আবার পরীক্ষা দেন, পাশও করেন। কিন্তু গ্রেড কার্ডে সেই নম্বর তোলা হচ্ছিল না। পরীক্ষা নিয়ামকের দফতরে গিয়ে বারে বারেই হয়রানির শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। এই বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সুদীপ সাহা তাঁর কাছে পাঁচ হাজার টাকা চান। সুদীপ তাঁকে জানান, গ্রেড আরও বাড়াতে চাইলে পরে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। ওই ছাত্রীর দাবি, সুদীপ তাঁকে জানিয়েছিলেন, এখানে সবই সম্ভব। কিন্তু তার জন্য টাকা দিতে হয়। যাবতীয় নথি ও কল রেকর্ড তাঁর কাছে আছে। সুবিচার না-পেলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে চিঠিতে লিখেছেন ওই ছাত্রী।

Advertisement

উপাচার্য বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘তদন্ত করে দেখা হবে। দোষ খুঁজে পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তন ছাত্র সুদীপের দাবি, অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে। জানিয়েছেন, তিনি সবটাই তদন্ত কমিটিকে জানাবেন।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফল প্রকাশ করা হয় ‘যাদবপুর ইউনিভার্সিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (জুমস)-এর মাধ্যমে। দায়িত্বে রয়েছে ওয়েবেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ফলপ্রকাশের জন্য দু’জনকে দায়িত্ব দেওয়া আছে। সুদীপ তাঁদের অন্যতম। সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এ দিন জানান, ২০১৯ নাগাদ সুদীপকে বিশ্ববিদ্যালয় এই দায়িত্ব দিয়েছিল। তখন সুদীপ ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের স্নাতকোত্তরের ছাত্র। সহ-উপাচার্য এ দিন সুদীপকে ডেকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই অভিযুক্ত কর্মী তাঁর কাছেও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

অভিযোগকারিণী চিঠিতে উপাচার্যকে লিখেছেন, ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি ছাত্র সংসদের (ফেটসু) কেউ তাঁকে পাঠিয়েছেন কি না, সুদীপ তা-ও জানতে চেয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, সুদীপও ছাত্রাবস্থায় ফেটসু-র সদস্য ছিলেন। ফেটসু-র চেয়ারপার্সন অরিত্র মজুমদারকে বিষয়টি নিয়ে বার বার ফোন এবং মেসেজ করেও কথা বলা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement