প্রতীকী ছবি।
৬৩০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্তি ১৪ নম্বর! অথচ, টেস্ট-এ জয়নগর জেএম ট্রেনিং স্কুলের ছাত্র শিবম হালদারের ৭০ % নম্বর ছিল।
তার মামা রাজকৃষ্ণ মণ্ডলের কথায়, “ওয়েবসাইটে ওর নম্বর দেখে চমকে যাই। মার্কশিট হাতে পেয়ে দেখি এই অবস্থা। কোথাও বড়সড় গোলমাল হয়েছে। আমরা ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করব। তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চাইব।’’ কিন্তু এ সব হতে হতে বছরটা না নষ্ট হয়ে যায়, আশঙ্কা পরিবারের।
জয়নগরের প্রথম শ্রেণির স্কুলে বরাবর ভাল ছাত্র বলে পরিচিত সে। স্কুল সূত্রের খবর, এ বার ১৯৩ জন মাধ্যমিক দিয়েছিল। ওই ছাত্র ছাড়া সকলেই কৃতকার্য। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সতীপ্রসাদ ত্রিপাঠী বলেন, “ছেলেটি ছাত্র হিসেবে ভাল। জানি না কী ভাবে এমন ঘটল।” মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রিভিউয়ের আবেদন করুক। বোঝা যাবে।’’
পরিবার জানিয়েছে, ৭০০ নম্বরের পরীক্ষায় শিবম পেয়েছে ৮৪ নম্বর। তার মধ্যে ৭০ নম্বরই পেয়েছে স্কুলের ‘ইন্টারন্যাল ফরমেটিভ ইভলিউশন’-এ। বাকি ৬৩০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা থেকে এসেছে মাত্র ১৪ নম্বর। অঙ্ক, ইংরেজি-সহ পাঁচটি বিষয়ে ৯০-এর মধ্যে ১ করে পেয়েছে সে। বাংলায় পেয়েছে ৯। জীবনবিজ্ঞানে লিখিত পরীক্ষায় ৯০ এর মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর শূন্য। টেস্টে অবশ্য ৯০-এর মধ্যে পেয়েছিল ৭৬। হতবাক শিবম বলেছে, “আশা করেছিলাম, ভাল ফল হবে। এ বার কী হবে জানি না।”