Bengaluru Cafe Blast

ঘর ‘সিল’, দুই জঙ্গির গতিবিধিতে ধোঁয়াশা

দিঘা থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার নিউ দিঘার যে হোটেল থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে হয়েছে, সেখানে একটি ঘর ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘরেই গত ১০ এপ্রিল থেকে ধৃতেরা ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৪৮
Share:

বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলা থেকে ধৃত দুই অভিযুক্ত। —ফাইল চিত্র ।

ভিন্‌ রাজ্যের ক্যাফেতে বিস্ফোরণে দুই অভিযুক্তকে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘার হোটেল থেকে গ্রেফতারের পর দু’দিন কেটে গিয়েছে। এনআইএ’র হাতে ধৃত ওই দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি আব্দুল মাথিন আহমেদ ত্বহা এবং মুসাভির হোসেন শাজিবের গতিবিধি ঘিরে রহস্য অব্যাহত সৈকত শহরে। দু’জন কোথা থেকে দিঘায় এসেছিল, কোন কোন জায়গায় গিয়েছিল, তা এখনও সামনে আসেনি। পুলিশি তদন্তের মুখে হোটেলের মালিকও মুখে কুলুপ এঁটেছেন।

Advertisement

দিঘা থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার নিউ দিঘার যে হোটেল থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে হয়েছে, সেখানে একটি ঘর ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘরেই গত ১০ এপ্রিল থেকে ধৃতেরা ছিল। হোটেলের সিসি ক্যামেরার রেকর্ড, রেজিস্ট্রেশন খাতা পুলিশ নিয়ে গিয়েছে। ওই ঘটনার পরে প্রাথমিক ভাবে পর্যটকদের একাংশের মধ্যে সুরক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন জাগলেও, গত দু’দিনে হোটেলটির পরিবেশ কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে। রবিবার ছিল বাংলা নববর্ষ। সপ্তাহান্ত এবং নববর্ষ কাটাতে দিঘায় পর্যটকদের ভালই ভিড় হয়েছে। তাঁদেরই কেউ কেউ রয়েছেন নিউ দিঘার ওই হোটেলে।

যে হোটেল থেকে সন্দেহভাজন দুই জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে, সেটির মালিক লাল কুমার ভিন্‌ রাজ্যের বাসিন্দা। ব্যবসায়িক সূত্রে কয়েকবছর ধরে তিনি রামনগর এলাকা বাস করছেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে তিনি মুখে কুলুপ এঁটেছেন। হোটেলের ঘর পুলিশের বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে জানতে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘হোটেলে ঠিকঠাক রয়েছে।’’ ধৃত দু’জন কী ভুয়ো নামে এসে হোটেলে উঠেছিল, বা তাদের সম্পর্কে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

দিঘা থানার সূত্রের খবর, ধৃত দুই জঙ্গি ভুয়ো আধার কার্ড জমা দিয়েছিল। সেই তথ্য জেলা পুলিশের পোর্টালে আপলোড করেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। আপাতত গত তিন দিনে দুই ধৃত সৈকত শহরে কোথায় কোথায় গিয়েছিল, কাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছিল, আর কোথাও ছিল কি না, সে বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে জেলা পুলিশ। যদিও এ ব্যাপারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের ডেপুটি সুপার (ড্রাগ অ্যান্ড থেরাপিউটিক) আবু নুর হোসেন বলেন, ‘‘যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই বলবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement