প্রতীকী ছবি।
এক সপ্তাহের মধ্যেই দু’বার গণধর্ষণের ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। গত বুধবারের পর ফের এই বুধবারেও ধর্ষণের শিকার হল এক নাবালিকা। ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার সোহাই শ্বেতপুর গ্রামপঞ্চায়েতের হালোখোলা এলাকায়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নাবালক-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও এক অভিযুক্ত পলাতক।
নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটি দশম শ্রেণিতে পড়ে। বাবা মারা গিয়েছেন আগেই। মা কোনও রকমে সংসার চালান। বুধবার সন্ধ্যায় এক দর্জির বাড়িতে মায়ের পাওনা টাকা আনতে গিয়েছিল সে। অভিযোগ, বাড়ি ফেরার সময় রাস্তা থেকেই তাকে তুলে নিয়ে যায় রাহান সর্দার, মুস্তাকিন মণ্ডল এবং এক নাবালক। হালোখোলার এক আমাবাগানে পুকুরের ধারে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে তারা। তার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তেরা। কোনও রকমে সেখান থেকে বাড়ি ফিরে মেয়েটি পুরো ঘটনা তার দিদিকে জানায়।
এর পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়ায়। নাবালিকার পরিবার সোহাই শ্বেতপুর থানায় তিন জনের নামে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। রাতেই ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছয়। দেগঙ্গার এসডিপিও সৌম্যজিৎ বড়ুয়া, আইসি অজয়কুমার সিংহও চলে আসেন। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে রাহান সর্দার এবং এক নাবালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে আর এক অভিযুক্ত মুস্তাকিন মণ্ডল পলাতক। রাতেই ধৃতদের জেরা করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে জানতে পারে, মূল চক্রী মুস্তাকিন।
পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল। এই ঘটনায় গণধর্ষণের পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধি পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এক সপ্তাহের মধ্যে পর পর দু’টি গণধর্ষণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। গ্রামবাসীরা নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বৃহস্পতিবার বারাসাত জেলা আদালতে তোলা হবে। তখন পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।
গত ১ সেপ্টেম্বর এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল দেগঙ্গারই ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের লেবুতলা বাজার এলাকায়। নাবালিকা কালিয়ানি গ্রামে মামার বাড়িতে এসেছিল। তাকে রাস্তার পাশে বাগানে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তিন যুবকের বিরুদ্ধে। নাবালিকার চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা অভিযুক্তদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।