বাঁকুড়ার সীমানা ছাড়াল হাতির পাল। — নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘ ৪ মাস পর হাতির একটি বড় দল বাঁকুড়া ছেড়ে ফের ফিরে গেল পশ্চিম মেদিনীপুরে। মঙ্গলবার রাতে হাতির দলটি বিষ্ণুপুর বনবিভাগের এলাকা অতিক্রম করে পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরে গিয়েছে। এমনটা জানা গিয়েছে বন দফতর সূত্রে। আরও জানা গিয়েছে, ওই দলটিতে হাতি রয়েছে প্রায় ৭০টি। তবে এখনও ৯টি হাতি বাঁকুড়ায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে বন দফতর সূত্রে। কবে ছোট দলটিও দ্রুত বাঁকুড়া জেলা ছাড়বে বলে আশাবাদী বন দফতর।
মাস চারেক আগে মাঠে আমন ধান পাকার সময় খাবারের খোঁজে দফায় দফায় মোট ৮০টি হাতি বাঁকুড়ায় চলে আসে। বিষ্ণুপুর বনাঞ্চল, বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের বিভিন্ন জঙ্গলে ঘাঁটি গাড়ে হাতিগুলি। জেলা জুড়ে শুরু হয় হাতির তাণ্ডব। গত কয়েক মাস ধরে এলাকা দাপিয়ে অবশেষে সপ্তাহ খানেক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের দিকে রওনা দিতে শুরু করে ওই হাতির পাল। এর মধ্যে মঙ্গলবার রাতেই ৭০টি হাতির দল সীমানা পেরিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢুকে পড়েছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। বাকি হাতিগুলির মধ্যে বড়জোড়া রেঞ্জে ৪টি, বেলিয়াতোড় রেঞ্জে ৪টি এবং সোনামুখী রেঞ্জে ১টি হাতি রয়েছে।
মুখ্য বনপাল (কেন্দ্রীয় চক্র) এস কুলানডাইভেল বলেন, ‘‘হাতির দলটি বাঁকুড়া জেলা থেকে বেরিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে ফেরার চেষ্টা করছিল। আমরা কড়া নজরদারির মধ্যে দলটিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরে যেতে সাহায্য করেছি। এখনও যে হাতিগুলি বাঁকুড়া জেলায় আছে সেগুলিও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা অভিমুখে রয়েছে। খুব শীঘ্র সেগুলিও বাঁকুড়া জেলার সীমানা পেরিয়ে যাবে বলে আমাদের আশা।’’
পশ্চিম মেদিনীপুরের বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৬০টি হাতির একটি দল তিন ভাগে ভাগ হয়ে রয়েছে রূপনারায়ণ বন বিভাগের অধীনস্থ গোয়ালতোড় এবং গড়বেতায়। দলটিকে ঝাড়খণ্ডের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বন দফতর। ডিএফও (রূপনারায়ণ বিভাগ) মণীশ যাদব বলেন, ‘‘হুমগড়ের হদহদি, গড়বেতার জামডোবা, বাগডোবা এলাকায় ৬০টি হাতি রয়েছে। হাতির দলকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।’’ মঙ্গলবার দলছুট দাঁতাল হাতিকে বাগে আনতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক বন আধিকারিক। এর পর ওই হাতি ঢুকে পড়েছে গোপগড় পার্কে। গোপগড়ে হাতিটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করেন বনকর্মীরা। এর পর নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়গ্রাম মিনি জু-তে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।