Calcutta High Court

বেতন কাটার শাস্তি! পুলিশ ডেকে হেডস্যারকে আটকালো কোর্ট, স্কুলে ঢুকতেও বাধা

শুক্রবার সকালে স্কুলের গেটের সামনে একরকম অসহায় ভাবেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২২ ২১:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

‘শাস্তি’র পাল্টা শাস্তি। সহ শিক্ষককে ‘শাস্তি’ দিতে তাঁর বেতন কেটে নিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক। পাল্টা প্রধান শিক্ষককেই স্কুলে ঢুকতে না দিয়ে তাঁকে শাস্তি দিল আদালত। এমনকি সহ শিক্ষকের বেতন বন্ধের ‘অপরাধে’ প্রধান শিক্ষকেরও বেতন বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি।

শুক্রবার সকালে স্কুলের গেটের সামনে একরকম অসহায় ভাবেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাঁর সামনে গেট আগলে দাঁড়িয়েছিল দুই বন্দুকধারী পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়ে ওই ব্যবস্থা করান। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেতন কাটার মামলাটি উঠেছিল তাঁরই এজলাসে।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনার শাসনের ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নাম শেখ সফি আলম। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক রাজু জানার বেতন প্রায় দু’বছর ধরে আটকে রেখেছেন। এমনকি, ওই শিক্ষককে বিভিন্ন ভাবে ভয়ও দেখিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে সফি আলমের বিরুদ্ধে ওই ইংরেজি শিক্ষক আদালতে মামলা করেন। মামলাটি বিচারপতি অভিজিতের বেঞ্চে উঠলে তাঁকে ভরা আদালতে ভর্ৎসনা করেন। জবাবে আদালতকে সফি জানিয়েছিলেন, ওই শিক্ষককে ছুটি নেওয়ার জন্য কারণ দর্শাতে বলা হয়েছিল, জবাব না দেওয়ায় তাঁর বেতন কাটা হয়। তবে সে কাজের জন্য হাত জোড় করে ক্ষমাও চান প্রধান শিক্ষক। কিন্তু বিচারপতি তা শুনতে চাননি। তিনি বলেন, ২০১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাইনে বন্ধ রাখলেন কেন? স্কুল কি আপনার জমিদারি? আপনি কি বেতন দেন? এর পরই ১০ জুন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয় সফি আলমকে। তাঁর স্কুলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও জারি করে হাইকোর্ট।

Advertisement


আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement