‘উত্তম স্মরণ সন্ধ্যা’
আজও তিনি শুধু আপামর বাঙালীর ‘নায়ক’ নন, মহানায়ক। তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। বাঙালির এই ম্যাটিনি আইডলকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে কলকাতার উত্তম মঞ্চে একটি বর্ণময় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করেছিল ‘উত্তম মেমোরিয়াল কালচারাল কমিটি’। প্রতি বছরই মহানায়কের স্মরণে অনুষ্ঠিত হয় এই সন্ধ্যা। সেখানে উঠে আসে উত্তম কুমারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নানান স্মৃতি কথা। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কথায়, গল্পে, গানে এই শহর আবারও সাক্ষী থাকল মহানায়কের স্মৃতিচারণায়।
মহানায়কের স্মৃতির উদ্দেশ্য উত্তম মঞ্চ তৈরি করেন তাঁর ভাই বিশিষ্ট অভিনেতা তরুণ কুমার, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর মা প্রয়াত চপলা দেবী এই কর্মযোগ্যের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। অভিনয়ের পাশাপাশি কলাকুশলীদের সাহায্য করতেন মহানায়ক উত্তম কুমার। মহানায়কের এই জীবন দর্শনকে পাথেয় করে উত্তম মেমোরিয়াল কালচারাল কমিটি দীর্ঘ বছর ধরে মহানায়কের মৃত্যু ও জন্মদিনে ধারাবাহিক ভাবে সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক কাজ করে চলেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
বহু বছর ধরেই সভাপতি দেবাশীষ কুমার ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক কার্তিক বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উত্তম মঞ্চে অনুষ্ঠান করা হয়। প্রতিবারই চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বহু ব্যক্তিকে সম্মান জানানো হয় মঞ্চ থেকে। এ বছর সংস্থার পক্ষ থেকে জীবনকৃতি সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন প্রয়াত পদ্মশ্রী প্রাপ্ত চিত্রগ্রাহক নিমাই ঘোষ, অভিনেত্রী রত্না ঘোষাল প্রমুখ। এ ছাড়াও এই বছর জীবনকৃতী সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন শ্রদ্ধেয়া অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়।
এছাড়াও সাহায্য প্রদান করা হয়েছে মহানায়কের সমসাময়িক দুঃস্থ কলাকুশলীদের। এর মধ্যে অন্যতম সহকারী ক্যামেরাম্যান গোকুল পান্ডে। তিনি কাজ করেছেন সন্ন্যাসী রাজা, সিস্টার, সমাধান, কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী, দর্পচূর্ণ , দেবদাস, বাঘবন্দী খেলা এর মতো ছবিতে। এছাড়াও অন্যান্য কলাকুশলীদের মধ্যে কার্তিক মন্ডল, গৌর কর্মকার, বীরেশ চট্টোপাধ্যায়কেও সাহায্য করা হয়েছে।
গানে গানে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বহু বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী। শ্রী সৈকত মিত্র, শ্রীমতী শম্পা কুণ্ডু, শ্রী ইন্দ্রনীল সেন, লোপামুদ্রা মিত্র, শ্রীকান্ত আচার্য, মনোময় ভট্টাচার্য, লোপামুদ্রা মিত্র, আরফিন রানা, অর্কদীপ মিশ্র সহ আরও অনেকে। সব মিলিয়ে এ বছরও জাঁকজমকপূর্ণভাবে মহানায়কের স্মরণে পালিত হল ‘উত্তম স্মরণ সন্ধ্যা’।