শংসাপত্র, মেডেল নিয়ে অদ্রীশ। নিজস্ব চিত্র।
মাত্র ৩ বছর ১১ মাস বয়সেই ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলে ফেলল মেদিনীপুরের অদ্রীশ পাল। লোয়ার নার্সাসির ছাত্র অদ্রীশ এখনই অনেক কবিতা, ছড়া আবৃত্তি করতে পারে। ইংরেজিতে গড়গড় করে বলতে পারে বার, মাসের নাম। এই বয়সে এমন প্রতিভার স্বীকৃতি দিল ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস।
মেদিনীপুর শহরের কুইকোটার বাসিন্দা অদ্রীশ পড়াশোনা করে ক্ষীরপাইয়ের সেন্ট জোন্স স্কুলে। বাবা তাপসকুমার পাল এবং মা অনিন্দিতা দু’জনেই শিক্ষকতা করেন। করোনাকালে ঘরবন্দি থাকার সময় মূলত মায়ের উৎসাহেই অদ্রীশ নিজেকে তৈরি করতে শুরু করে এবং সেই সঙ্গে চলে বিভিন্ন অনলাইন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ।
বাবা মায়ের সঙ্গে অদ্রীশ। নিজস্ব চিত্র।
অদ্রীশ এখন ২৫টি কবিতা, ছড়া সুন্দর ভাবে আবৃত্তি করতে পারে। ইংরেজিতে সপ্তাহের সাতটি বার, ১২ মাসের নাম ছাড়াও ১১ ধরনের জ্যামিতিক আকৃতি চিনে তাদের নাম বলতে পারে। এছাড়াও কম্পিউটার কি-বোর্ডে ইংরেজি বর্ণমালা এবং ১ থেকে ৪০ পর্যন্ত টাইপ করতে পারে। এছাড়াও এমন অনেক কিছুই ও জানে যা এই বয়সে সত্যিই অবাক করার মতো।
আরও পড়ুন: ভাত আরও একটু সেদ্ধ চাই, হাসপাতালে মহকুমাশাসককে পেয়ে আর্জি কোভিড রোগীর
আরও পড়ুন: রাস্তায় স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন, ভিডিয়ো তুলল পথচারীরা
এই সব প্রতীভার স্বীকৃতি হিসাবে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের ২০২২ সালের সংস্করণে জায়গা পাচ্ছে অদ্রীশের নাম। ইতিমধ্যেই সেই স্বীকৃতির শংসাপত্র ছাড়াও সে পেয়েছে মেডেল এবং অনেক উপহার। অদ্রীশ অবশ্য এই লকডাউনের সময়ে আরও অন্য সংস্থার ৭৬টি শংসাপত্র অর্জন করে ফেলেছে। অদ্রীশ তো খুশি। সঙ্গে খুশি ওর বাবা, মা, আত্মীয়-পরিজন, প্রতিবেশীরাও।