বিপর্যস্ত কলকাতার একাংশ। ছবি: অভিজিৎ দাস।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরে রাতভর বৃষ্টিতে সপ্তাহের প্রথম দিনে বিপর্যস্ত কলকাতার একাংশ। নানা জায়গায় ছিঁড়ল বিদ্যুতের তার। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়েও বিপর্যয় বিভিন্ন জায়গায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার দুপুর পর্যন্ত কলকাতা ও পাশের জেলাগুলিতে দুর্যোগ চলতে পারে। পুরসভার আশ্বাস, শীঘ্রই গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।
কলকাতার পার্ক সার্কাস, ঢাকুরিয়া, বালিগঞ্জ, আলিপুর-সহ নানা জায়গায় হাঁটুজল জমে। রেমালের তাণ্ডবে গাছ ভেঙে পড়ে অবরুদ্ধ বহু রাস্তাঘাট। বিদ্যুতের তার, খুঁটি ছিঁড়ে নানা এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। পুরসভা জানিয়েছে, সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম রাতেই আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘‘আপাতত কোনও ক্রাইসিস নেই।’’ বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “কিছু কিছু জায়গায় ট্রান্সফরমার উড়ে গিয়েছে। পরিস্থতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। ঝড় থামলে জানতে পারব, কোথায় কী ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।”
সোমবার সকালে বৃষ্টি হলেও কলকাতায় ঝড়ের দাপট সেই অর্থে নেই। তবে এখনও ঝোড়ো হাওয়া বইছে ফ্রেজারগঞ্জ ও বকখালিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে সুন্দরবনে। সোমবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ব্লকের একাংশ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। গাছ ভেঙে পড়ে বিপর্যস্ত সাগরদ্বীপ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, রেমালের প্রভাবে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে লাল সতর্কতা জারি রয়েছে। দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জারি কমলা সতর্কতা। সেখানে ২০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা। পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানে জারি কমলা সতর্কতা। সোমবার নদিয়া, মুর্শিদাবাদে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে জারি লাল সতর্কতা। কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতেও ভারী বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি।