করোনা কেড়ে নিল মিলখা সিংহকে। শুক্রবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই দৌড়বিদ। কমনওয়েলথ, এশিয়ান গেমসে সোনা। অলিম্পিক্সে চতুর্থ হওয়ার মতো বিভিন্ন ঘটনা আজও তাজা। তবে এ ছাড়াও বেশ কিছু অজানা কাহিনি রয়েছে মিলখার জীবনে। দেখে নেওয়া যাক সেইগুলো।
দৌড়বিদ নয় ডাকাত হতে পারতেন মিলখা। ছোটবেলায় ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনা সেই দিকে ঠেলে দিচ্ছিল তাঁকে। তবে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর নাম।
১৯৪৯ সালে ভারতীয় সেনায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন মিলখা। কিন্তু পারেননি। ১৯৫০ সালে ফের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। একটা রাবার কারখানায় কাজ করতে শুরু করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৯৫২ সালে সুযোগ পান ভারতীয় সেনায়। মাইনে ছিল ৩৯ টাকা ৮ আনা।
মিলখা প্রথম অলিম্পিক্সে নামেন ১৯৫৬ সালে মেলবোর্নে। কিন্তু প্রথম পর্বেই ছিটকে যান তিনি। কমনওয়েলথে সোনা জিতে ১৯৫৮ সাল থেকে পরিচিতি পেতে শুরু করেন মিলখা। ১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিক্সে চতুর্থ স্থান অর্জন করেন তিনি। একটুর জন্য পদক পাননি। ৪০০ মিটার দৌড়েছিলেন ৪৫.৭৩ সেকেন্ডে। জাতীয় রেকর্ড গড়েছিলেন মিলখা।
টিকিট ছাড়া ট্রেনে ওঠার জন্য জেলেও যেতে হয়েছিল মিলখাকে। তাঁকে ছাড়িয়ে আনার জন্য গয়না বিক্রি করতে হয়েছিল মিলখার দিদিকে।
নিজের সমস্ত পদক, ট্রফি দান করে দিয়েছেন এই দৌড়বিদ। পটিয়ালার একটি যাদুঘরে রাখা আছে সেই সব পুরস্কার।
মিলখার ৩ মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে। পরে বিক্রম সিংহ নামে কার্গিল যুদ্ধে প্রাণ হারানো এক সৈনিকের ৭ বছরের ছেলেকে দত্তক নিয়েছিলেন তিনি।
২০০১ সালে অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন মিলখা। সেই সময় বলেছিলেন, “৪০ বছর দেরি হয়ে গেল।”
রোম অলিম্পিক্সে যে জুতো পরে খেলেছিলেন তা ফারহান আখতারকে দিয়েছিলেন মিলখা। ভাগ মিলখা ভাগ ছবির শ্যুটিংয়ের সময় এই উপহার পান ফারহান।