মুকুটমণি অধিকারী ও স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী। —ফাইল চিত্র।
বিয়ের মাত্র ১১ দিনের মাথায় বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন তাঁর স্ত্রী। গত বুধবার ৭ জুন রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর স্ত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী। কলকাতার বাসিন্দা স্বস্তিকা স্থানীয় তিলজলা থানাতেই এই চিকিৎসক-বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মুকুটমণির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের পাশাপাশি, তোলাবাজি, বিশ্বাসভঙ্গ, আটকে রাখা ও হুমকি দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। মোট ৬টি ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর স্ত্রী। উল্লেখ্য, গত মে মাসের ২৮ তারিখেই রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছেন মুকুটমণি-স্বস্তিকা। বিয়ের মাত্র ১১ দিন পরেই কেন স্বামীর বিরুদ্ধে স্বস্তিকা এমন অভিযোগ করলেন তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। তাঁর বিরুদ্ধে স্ত্রীর পুলিশি অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুকুটমণির মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। সূত্রের খবর, মুকুটমণি ও তাঁর স্ত্রীর দীর্ঘদিনের পরিচয়। বিয়ে করেছেন সদ্যই। কিন্তু বিয়ে হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই এমন অভিযোগ জমা পড়ায় প্রশ্ন উঠছে।
প্রসঙ্গত, এই মূহূর্তে মুকুটমণি বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য। সঙ্গে রানাঘাট দক্ষিণের দলীয় বিধায়ক। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের সময় মুকুটমণির নাম রাজ্য রাজনীতির শিরোনামে আসে। মতুয়া সম্প্রয়াদের এই চিকিৎসককে বিজেপি নেতৃত্ব প্রার্থী করেছিল রানাঘাট লোকসভা আসনে। কিন্তু রাজ্য সরকারি চাকরিতে তাঁর ইস্তফা গৃহীত না হওয়ায় লোকসভা ভোটে দাঁড়ানো হয়নি মুকুটমণির। শেষ মূহূর্তে রানাঘাট আসনে বিজেপি প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন জগন্নাথ সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও মুকুটমণির সম্পর্ক বেশ ভাল। তৎকালীন বিজেপি সভাপতি অমিতের সুপারিশেই তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপির সংসদীয় কমিটি। কিন্তু নিয়মের যাঁতাকলে একেবারে শেষ মূহূর্তে ভোটে দাঁড়াতে পারেননি তিনি। তাই ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তাঁকে রানাঘাট দক্ষিণ আসন থেকে ফের প্রার্থী করে বিজেপি। ভোটে সার্বিক বিপর্যয় হলেও জয় পান মুকুটমণি। বিজেপি পরিষদীয় দলে এই যুবা চিকিৎসক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তাই তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় কিছুটা হলেও বিব্রত রাজ্য বিজেপি।