অপমানিত’ ছাত্রীর আত্মহত্যা। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার শান্তিপুরের। মৃতের আত্মীয়দের অভিযোগ, পরীক্ষায় নকল করার ‘শাস্তি’ হিসাবে সকলের সামনে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছিল ওই ছাত্রীকে। তার জেরেই ‘অপমানিত’ হয়ে সে বাড়ি ফিরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যা করে বলে ওই ছাত্রীর আত্মীয়দের দাবি। যদিও শরৎকুমারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
শান্তিপুরের বেলগড়িয়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নরসিংহনগর এলাকার বাসিন্দা সঞ্জিত পালের মেয়ে পাপিয়া (১৫) স্থানীয় শরৎকুমারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। তার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার টেস্ট পরীক্ষা চলাকালীন নকল করতে গিয়ে সে শিক্ষিকাদের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে। পাপিয়ার দিদি অণিমা পাল বলেন, ‘‘শুক্রবার ও স্কুলে গিয়েছিল পরীক্ষা দিত। সব প্রশ্নের উত্তর লেখা হয়ে গিয়েছিল। তবে ১০ নম্বরের একটি প্রশ্নের ও উত্তর দিতে পারছিল না। সেই সময় ও হয়তো বান্ধবীর দেখে লিখেছিল। কিন্তু শিক্ষিকা ওকে অপমান করেছিলেন। এ নিয়ে সহপাঠীরা হাসাহাসিও করেছে। এর পর স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে ও টয়লেট পরিস্কার করার অ্যাসিড খায়। ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় এ কথা জানিয়েছে পাপিয়া।’’
এর পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে শান্তিপুর থেকে কল্যাণীতে স্থানান্তরিত করা হয়ে পাপিয়াকে। সেখান থেকে তাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পথে মৃত্যু হয় পাপিয়ার। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।