কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
গত শুক্রবার ইডির হানার পরে এবং শেখ শাহজাহান এলাকা ছেড়ে চলে যেতেই খানিকটা ভরসা পেয়েছেন এমন কিছু মানুষ, যাঁদের অত্যাচার করার অভিযোগ ছিল শাহজাহানের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। সোমবার তেমনই একটি পুরনো ঘটনা উঠে এসেছে কলকাতা হাই কোর্টে।
২০১৯ সালে সন্দেশখালিতে তিন বিজেপি কর্মীকে খুনে পুলিশ শাহজাহানের বিরুদ্ধে তদন্ত করেনি বলে অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা করেছেন নিহতের পরিবারের লোকজন। এ দিন তাঁদের হাই কোর্টে নিয়ে এসেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, মামলাকারীদের নিরাপত্তা দিতে আলাদা জায়গায় রাখা হয়েছে। শাহজাহানকে ‘জঙ্গি, জেহাদি’ বলে উল্লেখ করে পুলিশের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন শুভেন্দু।
সন্দেশখালির ঘটনায় এ দিন হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছে বিজেপিও। তাদের আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়েরের অনুমতি চান। সেই অনুমতি মঞ্জুর হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার শুনানি হতে পারে। মামলায় শুক্রবার সন্দেশখালির পাশাপাশি বনগাঁয় আর এক তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করতে গিয়েও যে ভাবে হামলার মুখে পড়তে হয়েছে, সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সন্দেশখালি ও বনগাঁর ঘটনায় সিবিআই বা এনআইএ তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে। অবিলম্বে মামলার নথি কোর্টে পেশ করতে বলার জন্য আর্জি জানানোর পাশাপাশি প্রয়োজনে সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথাও বলা হয়েছে। মামলায় রাজ্য প্রশাসন, রাজ্য পুলিশ, সিবিআই, এনআইএ, কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি শেখ শাহজাহানকেও যুক্ত করা হয়েছে।