Non-transparency in the appointment of College Principals

কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগেও অস্বচ্ছতা, নিয়মভঙ্গের অভিযোগ, মামলা দায়ের কলকাতা হাই কোর্টে

মামলার আবেদনকারিণীর অভিযোগ, নিয়ম না-মেনে নিয়োগের মেধা-তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং অযোগ্যদের ঠাঁই দেওয়া হয়েছে সেই তালিকার শীর্ষে। তালিকার শীর্ষে থাকা ব্যক্তিদেরও মামলায় যুক্ত করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৩ ০৬:৪২
Share:

বিভিন্ন কলেজ অধ্যক্ষ নিয়োগেও অস্বচ্ছতা ও নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলে মামলা হল কলকাতা হাই কোর্টে। ফাইল চিত্র।

স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই কলেজে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠছিল। এ বার বিভিন্ন কলেজ অধ্যক্ষ নিয়োগেও অস্বচ্ছতা ও নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলে মামলা হল কলকাতা হাই কোর্টে। আদালতের খবর, তন্দ্রিমা চৌধুরী নামে এক জন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর তথা অধ্যক্ষপদ প্রার্থীর দায়ের করা ওই মামলার শুনানি হতে পারে চলতি সপ্তাহেই।

Advertisement

মামলার আবেদনকারিণীর অভিযোগ, নিয়ম না-মেনে যেমন নিয়োগের মেধা-তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং অযোগ্যদের ঠাঁই দেওয়া হয়েছে সেই তালিকার শীর্ষে। মেধা-তালিকার শীর্ষে থাকা ব্যক্তিদেরও মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, নিয়োগের দায়িত্বে থাকা সিএসসি বা কলেজ সার্ভিস কমিশনের শীর্ষ কর্তার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় যোগ্য প্রার্থীদের টপকে মেধা-তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছেন ওই প্রার্থীরা।

সিএসসি-র খবর, কলেজে দশ বছরের শিক্ষকতার পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা, উচ্চ মানের পত্রিকায় গবেষণাপত্র প্রকাশ, এপিআই বা অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্স ইনডেক্স-সহ বিভিন্ন বিষয়ের ভিত্তিতে অধ্যক্ষপদে নিয়োগের মেধা-তালিকা প্রস্তুত করার কথা। কিন্তু মেধা-তালিকা প্রকাশিত হলেও কে কোন বিষয়ে কত নম্বর এবং মোট কত পেয়েছেন, তা স্পষ্ট হয়নি। কাউন্সেলিং পদ্ধতি নিয়েও নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজের শিক্ষকদের টপকে কী ভাবে বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের অনেকে অধ্যক্ষ নিয়োগের তালিকায় ঠাঁই পেলেন, উঠছে সেই প্রশ্নও। কোর্টের খবর, তন্দ্রিমা তাঁর মামলার আবেদনে দেখিয়েছেন যে, তাঁর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন হয়েও মেধা-তালিকার শীর্ষে এক ব্যক্তিকে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। এই অস্বচ্ছতার সঙ্গে মামলায় সরাসরি নাম জড়িয়েছে কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক করের।

Advertisement

দীপক মঙ্গলবার বলেন, ‘‘কী মামলা হয়েছে, সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানি না। তাই মামলা নিয়ে এখন কোনও মন্তব্য করতে পারছি না।’’ তবে তাঁর দাবি, ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম এবং রাজ্য সরকারের নিয়োগ বিধি মেনেই অধ্যক্ষ নিয়োগের যাবতীয় প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে।

কোর্টের খবর, চুক্তির ভিত্তিতে কর্মরত এক ব্যক্তিও অধ্যক্ষ নিয়োগের তালিকায় উপরের দিকে স্থান পেয়ে গিয়েছেন বলে কোর্টের নথিতে অভিযোগ করা হয়েছে। মামলাকারীর বক্তব্য, চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করলে তিনি কোনও ভাবেই নিয়োগের জন্য যোগ্য বলে গণ্য হতে পারেন না।

কলেজে নিয়োগ নিয়ে বারে বারেই অভিযোগ উঠেছে। মামলাও হয়েছে। তবে কলেজ সার্ভিস কমিশনের অনেকের পর্যবেক্ষণ, এত নির্দিষ্ট ভাবে নিয়ম এবং আইনভঙ্গের অভিযোগ আগে ওঠেনি। তাঁদের অনেকের আক্ষেপ, এত দিন স্কুল নিয়োগে দুর্নীতির কথা উঠেছিল। এ বার কলেজ সার্ভিস কমিশনের গায়েও সেই অভিযোগ সেঁটে গেল। তবে অভিযোগ সত্যি কি না, সেই নিয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে মন্তব্য করা হয়নি। ওই সূত্রের বক্তব্য, বিষয়টি বিচারাধীন। তাই এই বিষয়ে যা বলার, আদালতেই আইনজীবীর মাধ্যমে তা বলা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement