অভিযুক্ত পুলিশকর্মী (বাঁ দিকে)।
রক্ষকই ভক্ষক! চলন্ত গাড়িতে এক যুবককে ধাক্কা দিয়ে টানতে টানতে প্রায় এক কিলোমিটার নিয়ে গেল পুলিশের গাড়ি। যাঁর হাতে স্টিয়ারিং, তিনি কলকাতার লেক থানার এসআই। শনিবার রাতে এমনই রোমহর্ষক দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছে সোদপুরের বিটি রোড। এক কিলোমিটার দূরে গাড়ি থামানোর পর পুলিশকর্মী ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। জনৈক পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। আক্রান্ত যুবকের দাবি, সোদপুরে একটি রেস্তরাঁর সামনে গাড়ি পার্ক করেছিলেন তিনি। খাবার অর্ডার করে গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। সে সময় পুলিশের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি এসে আচমকা যুবকের গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে। এর পরই ওই গাড়িটির বনেটে হাত দিয়ে ধাক্কা মেরে দাঁড়াতে বলেন যুবক। কিন্তু সজোরে ওই গাড়িটি যুবককে আবার ধাক্কা মারে। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন কলকাতার লেক থানার এসআই সৌমেন দাস। ধাক্কার জেরে গাড়ির বনেটে উঠে পড়েন যুবক। সেই অবস্থাতেই গাড়ি চালাতে শুরু করেন পুলিশ কর্মী। নিজেকে বাঁচাতে গাড়ির বনেট ধরে রাখেন যুবক। একই সঙ্গে গোটা ঘটনা ফোনে ক্যামেরাবন্দি করেন।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বনেটে যুবককে নিয়েই জোরে গাড়ি ছোটাচ্ছেন ওই পুলিশকর্মী। ‘হেল্প’, ‘হেল্প’ বলে চিৎকার করতে থাকেন ওই যুবক। খানিকটা এ ভাবে যাওয়ার পর গাড়ি থামান এসআই। তার পর গাড়ি থেকে নেমে যুবকের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান। আক্রান্ত খড়দহের বাসিন্দা রবি সিংয়ের অভিযোগ, গাড়ি থেকে নেমে ওই পুলিশকর্মী তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। খড়দহ থানায় এসআই-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত যুবক। ওই পুলিশ কর্মী মত্ত ছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পুলিশকর্মী গত এক বছর ধরে থানায় গরহাজির ছিলেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।