ফাইল চিত্র।
আদিবাসী ধর্মকে স্বীকৃতি দিতে চায় রাজ্য সরকার। সেই মর্মে আগামী বিধানসভা অধিবেশনে 'সারনা' ও 'সারি' ধর্মকে স্বীকৃতি দিতে বিল পেশ করা হতে পারে। সম্প্রতি এমনই ইঙ্গিত মিলেছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা সূত্রে। ইতিমধ্যে পরিষদীয় দফতরের সঙ্গে এ বিষয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়ে গিয়েছে আইন দফতরের। ৬ জুলাই এই সংক্রান্ত একটি নির্দিষ্ট প্রস্তাব পাশ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা। তারপরেই রাজ্যের এই উদ্যোগের কথা নিজেদের এলাকার আদিবাসী সমাজের মানুষের কাছে তুলে ধরতে জনপ্রতিনিধিদের চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসী সম্প্রদায়ের বহু মানুষ ‘সারনা’ ও ‘সারি’ ধর্মে বিশ্বাস করেন। সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
আদিবাসী সম্প্রদায়ের এই দাবি তুলে ধরে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেন্দ্রের কাছ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়ে আগামী বিধানসভা অধিবেশনে আইন তৈরি করে আদিবাসী ধর্মকে স্বীকৃতি দিতে চায়। তবে এর পাশাপাশি প্রস্তাব অনুযায়ী কেন্দ্রের কাছে ফের এই দাবি জানানো হবে। নবান্নের এক আধিকারিকের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্বাস রাজ্য সরকারের এই প্রয়াস নিশ্চয়ই ফলপ্রসূ হবে। রাজ্যের আদিবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ফেলে রাখা কোনও ভাবেই উচিত নয়। যত শীঘ্রই সম্ভব তাঁদের দাবি পূরণ করা হবে। এই প্রচেষ্টার কথা আদিবাসী সমাজের মানুষের কাছে যথাযথভাবে তুলে ধরবে রাজ্য।”
তবে এই বিষয়ে আদিবাসী ভোটের রাজনীতি দেখছে বিরোধীরা। কারণ, গত লোকসভা নির্বাচনে আদিবাসী সম্প্রদায়ের ভোট অনেকটাই চলে গিয়েছিল বিজেপির দিকে। সম্প্রতি আবার বিজেপি তথা এনডিএ সরকারের উদ্যোগে দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন আদিবাসী সমাজের দ্রৌপদী মুর্মু। তাই বিজেপির এমন কৌশলী চালের পাল্টা চাল দিতেই আদিবাসী ধর্মকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।