ফাইল চিত্র।
রাজ্যের প্রতিটি টিকা কেন্দ্রের বাইরে প্রতিনিয়ত উপভোক্তাদের ভিড় বাড়ছে। কিন্তু টিকা কোথায়?
বঙ্গের ভাঁড়ারে টিকার অবস্থা ‘বাড়ন্ত’। কেন্দ্রের তরফে পর্যাপ্ত জোগান না থাকার ফলেই এমন হাল বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য মহলও। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকে হাতে গোনা কয়েকটি জেলাকে কিছু সংখ্যক ডোজ় সরবরাহের পরে রাতে বাগবাজার কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোরে পড়ে ছিল মাত্র ৬-৭ হাজার ডোজ় টিকা। বিষয়টি জানানো হয় স্বাস্থ্য ভবনকেও।
স্বাস্থ্য শিবিরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘কেন্দ্রের তরফে যেমন জোগান দেওয়া হচ্ছে, তেমনি সর্বত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। টিকা এলেই সমস্ত জেলায় চাহিদা অনুযায়ী পাঠানো হবে।’’ এ দিন প্রতিষেধক-অনটনের মধ্যেই রাতে কিছুটা আশার আলো দেখা গিয়েছে, কেন্দ্রের পাঠানো বার্তায়। জানানো হয়েছে, আজ, বুধবার রাজ্যে প্রায় ৯ লক্ষ ডোজ় কোভিশিল্ড আসবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এ দিন সকালে বাগবাজারে কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোরে সর্ব-সাকুল্যে ৫৩ হাজার ডোজ় কোভিশিল্ড ছিল। কিন্তু কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে তাদের চাহিদা জানানো হয়। তাতেই ফাঁপরে পরে যান স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরাও। টিকা পেতে সরাসরি স্বাস্থ্য ভবনেও যোগাযোগ করেন বেশ কয়েকটি জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
কিন্তু পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত কলকাতা, হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে টিকা পেয়েছে। বিভিন্ন জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হচ্ছে যে, ভোর থেকে লাইন দিয়েও দুপুরে টিকা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে উপভোক্তাদের। এই টানাটানির পরিস্থিতিতে এ দিন রাজ্যে ২ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮৮৮ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে রাতে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।