—প্রতীকী ছবি।
দল ভাঙিয়ে পঞ্চায়েতের বোর্ড গড়তে পারে বিজেপি— এমনই আশঙ্কায় দলের নির্বাচিত ৮ পঞ্চায়েত সদস্যকে কর্মীদের সামনে দলত্যাগ না করার শপথ গ্রহণ করালেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতৃত্ব। সোমবার নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের খোদামবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে।
এই পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্যে ৮টিতে জিতেছে তৃণমূল। ৭টি আসন পেয়েছে বিজেপি। বিরোধী গেরুয়া শিবির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলায় আশঙ্কা বেড়েছে শাসকদলের। তৃণমূলের আশঙ্কা আরও বাড়িয়েছে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটি মন্তব্য। শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘আমরা গতবার নন্দীগ্রামের মাত্র ১টা গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিলাম। এ বার ১১টা দখল করেছি। আরও কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের হতে চলেছে।’’ অভিযোগ, দল ভাঙাতে বিজেপির তরফে হুমকি, প্রলোভন, চাপ সৃষ্টি— সবই চলছে।
এই আবহেই সোমবার বিকেলে খোদামবাড়িতে দলীয় কর্মিসভায় শপথবাক্য পাঠ করেন তৃণমূলের ৮ জন বিজয়ী প্রার্থী। ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) দেখা যাচ্ছে, করজোড়ে শপথ নিয়ে তাঁরা বলছেন, ‘‘কোনও পরিস্থিতিতেই তৃণমূলের প্রতীক ব্যতীত অন্য কোনও প্ররোচনায় বা প্রলোভনে পা দেব না।’’ বিজয়ী সুনীলকুমার জানা মানলেন, ‘‘কয়েক দিন ধরেই বিজেপির তরফে নানা প্রলোভন এবং হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কর্মীদের সংশয় কাটাতেই এই অঙ্গীকার গ্রহণের অনুষ্ঠান।’’ ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক নাড়ুগোপাল জানারও বক্তব্য, ‘‘বিধায়ক মাঝেমধ্যেই হুঙ্কার দিচ্ছেন। তৃণমূলের বিজয়ীদের ভাঙানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। তাই বিজয়ীরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন।’’
প্রলোভন বা হুমকির অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি প্রলয় পালের কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূল নিজেই ভয় পাচ্ছে বিজয়ী প্রার্থীরা উন্নয়নে শামিল হতে বিজেপি চলে আসতে পারেন। তাই এ সব করছে।’’