প্রতীকী ছবি।
যৌন নির্যাতন থেকে রেহাই পেলেন না পঁচাত্তর বছরের বৃদ্ধাও!
ভাটপাড়ার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক পড়শিকে খুঁজছে পুলিশ। বৃদ্ধার চিকিৎসা চলছে নার্সিংহোমে। বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, কার্যত বাকরুদ্ধ মহিলা। বিষয়টি মনে করিয়ে দিচ্ছে কয়েক বছর আগে রানাঘাটে বৃদ্ধা সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের ঘটনা।
ভাটপাড়ার ওই বৃদ্ধার চার মেয়ে। তবে নিজে আলাদা বাড়ি ভাড়া করে থাকেন তিনি। বাড়িওলার সঙ্গে যোগাযোগ নিয়মিত। পাড়ার লোকেরাও খোঁজখবর রাখেন। মাকে নিয়ে নিশ্চিন্তই ছিলেন মেয়েরা।
কিন্তু শুক্রবার রাত থেকে বৃদ্ধার আচরণে প্রশ্ন জাগে বাড়িওয়ালার। হাসিমুখ মানুষটি শুধু কেঁদেই চলেছিলেন। কী হয়েছে জানতে চাইলে উত্তর দিচ্ছিলেন না। বাড়িওয়ালা মেয়েদের ডাকেন। শনিবার মাকে নিয়ে যান মেয়েরা। তাঁরা দেখতে পান, মায়ের সোনার চুরি, কানে সোনার দুল উধাও। রাতের দিকে রক্তক্ষরণও শুরু হয়। মেয়েদের প্রশ্নের মুখে বৃদ্ধা জানান গোটা ঘটনা। ব্যারাকপুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখান থেকে পরে পাঠানো হয় একটি নার্সিংহোমে।
আরও পড়ুন: পশ্চিম মেদিনীপুরে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের নালিশ, ধৃত পাঁচ
সোমবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন বৃদ্ধার মেয়েরা। সেখানে তাঁরা জানিয়েছেন, পাড়ার অনেকে মায়ের সঙ্গে গল্প করতে আসতেন। তাঁদেরই একজন বছর পঞ্চাশের এক ব্যবসায়ী। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় মদ্যপ অবস্থায় বৃদ্ধার ঘরে ঢোকে ওই ব্যক্তি। বৃদ্ধা তাঁকে চলে যেতে বলেন। সে কথা না শুনে বৃদ্ধার উপরে চড়াও হয় ওই ব্যক্তি। ধর্ষণ করে গয়না কেড়ে নিয়ে পালায়।