ছবি পিটিআই।
অতিমারিতে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ষষ্ঠ বা চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা দিতে হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। ফলও বেরিয়েছে। কিন্তু শেঠ আনন্দরাম জয়পুরিয়া কলেজের অন্তত ৭০ জন বি-কম পড়ুয়া ফল জানতে পারেননি। আবেদন-নিবেদনে জট না-খোলায় তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করে বৃহস্পতিবার তাঁর দফতরে চিঠি লিখেছেন।
করোনার দাপটে এ বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনের সিমেস্টার পরীক্ষা হয়নি। অক্টোবরে চূড়ান্ত অর্থাৎ ষষ্ঠ সিমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়া হয়। ফল বেরোয় সেই মাসের শেষ দিকে। বিশ্ববিদ্যালয় তার পরে বকেয়া অন্তর্বর্তী সিমেস্টার ও সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা নিতে উদ্যোগী হয়।
কিন্তু চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা দিয়েও ৭০ জনের ফল অজানা থেকে গেল কেন? কলেজ সূত্রের খবর, ওই ছাত্রছাত্রীরা ‘ইভ্ন সিমেস্টার’ অর্থাৎ দ্বিতীয় বা চতুর্থ সিমেস্টারে ‘নন-কলেজিয়েট’ হয়ে যান। তাঁরা ন্যূনতম ক্লাস করেননি বা পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করেননি। তাই সিবিসিএস পদ্ধতির নিয়ম অনুযায়ী আগে চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা দিয়ে তার পরে ওঁরা ষষ্ঠ সিমেস্টারের পরীক্ষা দিতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ারা চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা দিয়ে ষষ্ঠ সিমেস্টারের ফল জানতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করেন। লাভ হয়নি। ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, ভুলটা হয়েছে কলেজের তরফেই। অধ্যক্ষ তাঁদের চূড়ান্ত সিমেস্টার পরীক্ষা দিতে বাধা দেননি। তাই তাঁরা পরীক্ষা দেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, সিবিসিএসে এ ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার নিয়মই নেই।