প্রতীকী ছবি।
ঘরের বাঁশের সঙ্গে বাঁধা ওড়নার দোলনায় দাদার সঙ্গে দুলছিল বছর সাতেকের বোন। আচমকা বাঁশ ভেঙে যাওয়ায় সেই ওড়নার ফাঁসেই মৃত্যু হল বালিকাটির। ফাঁসে গুরুতর জখম তার দাদা। শুক্রবার বিকেলে হুগলির চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর এলাকায় ওই দুর্ঘটনায় মৃতের নাম রশ্মি কুমারী। তার দাদা ১০ বছরের রোশনকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।
রোশনরা তিন ভাইবোন। রোশনই বড়। ছোট ভাই বছর দেড়েকের। তাদের বাবা নীরজ কুমার আদতে বিহারের লোক। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তিনি রবীন্দ্রনগরে ভাড়া-ঘরে থাকেন। ট্রলিতে ডালের পকোড়া ফেরি করেন।
শুক্রবার বিকেলে নীরজ কাজে বেরিয়েছিলেন। স্ত্রী অনিতা তিন ছেলেমেয়েকে ঘরে রেখে বাড়ির সামনে কয়লা ভাঙছিলেন। তিন ছেলেমেয়ে ঘরে খেলছিল। আচমকা বড় ছেলের চিৎকারে ঘরে ঢুকে অনিতা দেখেন, ওড়নায় ফাঁস লেগে ছেলে-মেয়ের গলায়। দু’জনেই মেঝেতে পড়ে। মেয়ের জ্ঞান নেই। ছোট ছেলে একপাশে হামাগুড়ি দিচ্ছে। অনিতার চিৎকারে পড়শিরা চলে আসেন। খবর পেয়ে নীরজও ফেরেন। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা রশ্মিকে মৃত বলে জানান। পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠায়।