প্রতীকী ছবি।
বাংলা সহায়ক কেন্দ্রের পাঁচ হাজার ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বেতন আপাতত আটকে গিয়েছে। গত নভেম্বর থেকে সরকারি অধিগৃহীত সংস্থা ওয়েবেল-এর মাধ্যমে ধাপে ধাপে এঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু জানুয়ারির বেতন দিতে পারেনি ওয়েবেল। ইতিমধ্যেই অপারেটরদের মেসেজ পাঠিয়ে ওয়েবেল জানিয়ে দিয়েছে, প্রকল্পটির পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে চলছে। গত দু’মাস ধরে তারা অপারেটরদের বেতনের টাকা মেটাচ্ছে না। সব মিলিয়ে বকেয়া ২০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ওয়েবেল এই দায় নিতে অক্ষম। তাই সরকার বেতনের টাকা না দিলে অপারেটরদের বেতন দেওয়া যাচ্ছে না।
এই মেসেজ পেয়ে ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে গ্রামীণ এলাকায় ডিজিটাল পরিষেবা পৌঁছে দিতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ প্রকল্প ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’ বা তথ্যমিত্র মারফত তাদের প্রকল্পগুলির সুবিধা সরাসরি পৌঁছে দিচ্ছে বলে জানতে পেরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান প্রকল্পে অনেকে সরাসরি আবেদনও করেছিলেন। এর পরই রাজ্যের ২০২টি পরিষেবা বাছাই করে বাংলা সহায়ক কেন্দ্রের মাধ্যমে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। তিন মাসের মধ্যে ৫০০০ সহায়ক নিয়োগও করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের ৬০ বছর চাকরি এবং সরাসরি দফতর থেকে বেতনের ব্যবস্থা করা হবে সরকারি নির্দেশও জারি করেছেন।
প্রসঙ্গত, বন সহায়কের মতোই বাংলা সহায়কদের নিয়োগ কী ভাবে হয়েছে, তাঁদের আবেদন কোথায় নেওয়া হয়েছিল, কী পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, যোগ্যতামান কী ছিল তা নিয়েও নানা প্রশ্ন বিরোধীরা তুলেছিলেন।
সহায়কদের একাংশ জানাচ্ছেন, এর আগে মাসের ১০ তারিখের পর বেতন হচ্ছিল। এ মাসেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত দফতর টাকা বরাদ্দ না করাই বেতন দিতে ওয়েবেল অপারগ। নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা জানান, পদ্ধতিগত কারণে এই সমস্যা হতে পারে। তা মেটানোর ব্যবস্থা হবে।