—ফাইল চিত্র।
তৃণমূল ছেড়ে তাঁদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ‘অভিযোগ’ ঠিক কি না, পাঁচ বিধায়ককে চিঠি দিয়ে তা জানতে চাইলেন বিধানসভার স্পিকার। তৃণমূলের পরিষদীয় দলের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এমন সিদ্ধান্ত। তৃণমূলের দলত্যাগী বিধায়কদের নিয়ে এমন প্রক্রিয়া শুরু হতেই প্রশ্ন উঠেছে, কংগ্রেস এবং সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া বিধায়কদের তা হলে কী হবে?
বিধানসভা ভোটে ২০১৬ সালে জিতে তৃণমূল দ্বিতীয় বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাম ও কংগ্রেস ভেঙে যত দলত্যাগের ঘটনা ঘটেছে, তার কোনওটারই ফয়সালা এখনও হয়নি। তৃণমূলের প্রতীকে রাজ্যসভা ও লোকসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ায় তিন বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, অপূর্ব সরকার ও আবু তাহের খানকে শুধু আইন মেনে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। অন্তত ১০ জন কংগ্রেস বিধায়কের দলত্যাগের বিষয়ে স্পিকারের কাছে পাঠানো বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের চিঠি এখনও ঝুলে আছে। গাজলের দীপালি বিশ্বাসের মতো বাম বিধায়কের দলত্যাগের শুনানিও শেষ হয়নি। এরই মধ্যে লোকসভা ভোটে তৃণমূল ধাক্কা খাওয়ার পরে শাসক দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে পা বাড়িয়েছেন কিছু বিধায়ক। তার জেরেই পাঁচ বিধায়ককে স্পিকারের দফতর থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বীজপুরের শুভ্রাংশু রায়, বনগাঁ উত্তরের বিশ্বজিৎ দাস, লাভপুরের মনিরুল ইসলাম, নোয়াপাড়ার সুনীল সিংহ ও কালচিনির উইলসন চ্যাম্প্রামারি— এই পাঁচ দলত্যাগী বিধায়ককে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বিধানসভার সচিবালয় সূত্রের খবর। কংগ্রেস বা বাম থেকে তৃণমূলে যাওয়া বিধায়কদের অধিকাংশই প্রথমে এই চিঠি পেয়ে দলত্যাগের অভিযোগ ‘অস্বীকার’ করেছিলেন। পরবর্তী কালে তাঁরা শুনানি চালিয়ে যাওয়ার জন্য সময় চেয়ে চলেছেন। এই পাঁচ বিধায়ক কী করেন, এখন তা-ই দেখার। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘ওই পাঁচ জনের বিধায়ক-পদ খারিজ করলে তৃণমূলে যাওয়া অনেকের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নিতে হবে!’’ বিধানসভার সচিবালয় সূত্রের ব্যাখ্যা, পরিষদীয় দলের অভিযোগ পেলে নিয়মমাফিক সংশ্লিষ্ট বিধায়কের বক্তব্য জানতে হয়।