হলদিয়ায় সভা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুজিত বসুর। নিজস্ব চিত্র
শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ৩ দিনের মাথায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি তৃণমূলের। অথচ তাতে যোগ দিলেন না অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্যই। রবিবার কেন্দ্রের ‘জনবিরোধী নীতি’র প্রতিবাদে হলদিয়ায় মিছিলের নেতৃত্ব দেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুজিত বসু। কাঁথিতে অপর একটি সভা করেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দলের ৩ নেতাই অধিকারী গড়ে নেমে দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন, ‘তাঁরা কেবলমাত্র দিদির অনুগামী।’ তেমনই জনবিরোধী নীতির অভিযোগ তুলে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকেও।
মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফার পর রবিবার প্রথম অরাজনৈতিক সভা শুভেন্দুর, মহিষাদল রাজবাড়ির ছোলাবাড়ি প্রাঙ্গণে। ঠিক একই দিনে কাঁথি এবং হলদিয়ায় জোড়া কর্মসূচি তৃণমূলের। অধিকারী পরিবারের সদস্যদের বাদ রেখে পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের বড় মাপের কর্মসূচি শেষ বার কবে হয়েছে তা মনে করতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউই। এই প্রসঙ্গেই ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘শুভেন্দু যদি কোনও অরাজনৈতিক সভা করে থাকেন এতে কোনও অপরাধ নেই। আমরা সকলেই একাধিক অরাজনৈতিক সভা করে থাকি। তিনি নিজে যত ক্ষণ না নিজের মুখে কিছু বলছেন, তত ক্ষণ পর্যন্ত অযথা বিতর্ক জিইয়ে রাখতে চাইছে সংবাদমাধ্যম।’’
শুভেন্দুর অরাজনৈতিক সভার দিনেই তৃণমূলের সভা কেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে ব্রাত্য বসুর জবাব ‘‘শুভেন্দুর কর্মসূচির সঙ্গে তৃণমূলের কর্মসূচি গুলিয়ে দেওয়াটা ঠিক হচ্ছে না।’’ একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘পূর্ব মেদিনীপুর থেকে কোনও কোনও নেতা বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। কেউ কেউ আগামী দিনে যেতেও পারেন।’’ কিন্তু সমর্থকরা কেউই তৃণমূল ছেড়ে যাবেন না বলেই আশাবাদী তিনি। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘ধড় চলে গেলেও দেহ থেকে যাবে তৃণমূলে।’’
কাঁথির সভায় ব্রাত্য বসু। নিজস্ব চিত্র
আরও পড়ুন: মমতায় আস্থা, পাহাড়ে ফিরে বিনয়-অনীতদের তোপ রোশনের, নিশানায় বিজেপি-ও
আরও পড়ুন: ভয়ে আমার নাম নেয় না বিজেপি, ভাইপো বলে ডাকে, তোপ অভিষেকের
রবিবারই শুভেন্দুর গড় হিসেবে পরিচিত হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পথে নামেন ২ মন্ত্রী সুজিত ও রাজীব। হলদিয়ার কদমতলা থেকে সিটি সেন্টার পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার পদযাত্রা করেন তাঁরা। মিছিল শেষে সিটি সেন্টারে হয় জনসভাও।
কর্মীদের উদ্দেশে সুজিত এবং রাজীব দু’জনেরই বার্তা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দলের একমাত্র নেত্রী। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলেও আশা তাঁদের। দেশে চলতি কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে কেন্দ্রকেও নিশানা করেছেন সুজিত।