রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ভোট দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় শেষ হল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। সোমবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অধিবেশন কক্ষে চলে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর দেখা যায়, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯১ জন বিধায়ক ভোট দিয়েছেন। এক জন তৃণমূল বিধায়ক ভোট দিতে আসেননি। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ভোটদান থেকে বিরত থেকেছেন। বসিরহাট উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক রফিকুল ইসলাম মণ্ডল ভোট দিতে আসেননি। তৃণমূল পরিষদীয় দল সূত্রে খবর তিনি হজ করতে সৌদি আরব গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় এসে বিধায়কদের ভোটদানে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে জানতে চান। তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ জানান, হজে যাওয়ার কারণে একমাত্র রফিকুলই ভোট দিতে পারেননি।
অন্য দিকে, ভোটদান থেকে বিরত থেকেছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ। নিজের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এনডিএ শিবিরের প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু বিজেপির প্রার্থী। তাই স্বাভাবিক কারণেই আমরা তাঁকে ভোট দেব না। আর যিনি বিরোধী পক্ষের প্রার্থী, তিনিও এক সময় বিজেপি করতেন। বাবরি ধ্বংস থেকে গুজরাটের দাঙ্গা-- সবেতেই তাঁর সমর্থন ছিল বিজেপি নেতা হিসেবে। তাই তাঁকেও আমরা ভোট দিতে পারি না।" তিনি আরও বলেন, "১৭টি বিরোধী রাজনৈতিক দল যশবন্ত সিংহকে প্রার্থী করেছিল। কিন্তু, এখন সেই বিরোধী শিবিরের ঐক্য নেই। তাই যশবন্তকে আমরা ভোট দিইনি।" তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার ৩১ জন সাংসদ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ভোটদান করেন। আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হা ও মথুরাপুরের সাংসদ চৌধুরী মোহন জাটুয়া দিল্লিতে ভোট দিয়েছেন। তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচিত সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী দিল্লিতে ভোট দিয়েছেন।