অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন ভাঙার অভিযোগ আনলেন দ্রৌপদী মুর্মুর নির্বাচনী এজেন্ট। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর্যবেক্ষককে লেখা একটি চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, অভিষেক আইন ভেঙে তাঁর বিশাল বড় গাড়ির বহর নিয়ে বিধানসভা ভবনে এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটদান করতে। যা কি না নির্বাচন কমিশনের আইন বিরোধী। সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীনই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দ্রৌপদীর এজেন্ট সুদীপ কুমার মুখোপাধ্যায়। যদিও তৃণমূল তাঁর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
সোমবার ছিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটদান পর্ব। তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক দুপুর ১২ টা নাগাদ বিধানসভা ভবনে পৌঁছন। তাঁর সঙ্গে ছিল ১৫টি গাড়ির কনভয়। এই কনভয় নিয়েই আপত্তি তুলেছেন বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদীর এজেন্ট সুদীপ। অভিযোগপত্রে সুদীপ লিখেছেন, ‘আমি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছি, যিনি বিধানসভা চত্বরে অন্তত ১৫টি গাড়ির কনভয়, একটি পাইলট কার এবং আরও অনেকজনকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে ঢুকেছেন।’ সুদীপ চিঠিতে লিখেছেন, ‘এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের আরোপিত আইন ভাঙা হয়েছে। আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে বলছি।’
যদিও তৃণমূল সুদীপের এই অভিযোগকে অস্বীকার করে। শাসকদলের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘অভিষেক কোনও নিয়ম ভাঙেননি, তিনি জেড প্লাস পর্যায়ের নিরাপত্তা পান। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা অবশ্যই এসেছিলেন। কিন্তু অভিষেক বিধানসভায় প্রবেশ করার পরই তাঁরা বেরিয়েও যান। বিজেপি শুধু অভিযোগ করার জন্যই এই অভিযোগ করছে। এর কোনও সত্যতা বা ভিত্তি নেই।’’
উল্লেখ্য, সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চলাকালীনই বিজেপির বিরুদ্ধে বিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনেছিলেন শাসকদল তৃণমূলের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিজেপি বিধায়কেরা আদিবাসীদের প্রতীক হিসেবে যে পানচি গায়ে দিয়েছিলেন, তা নির্বাচনী এজেন্টেরও গলায় রয়েছে বলে অভিযোগ করেন চন্দ্রিমা। তার কিছু ক্ষণ পরেই অভিষেকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনে বিজেপি।