বিডিও অফিসের কর্মীদের সঙ্গে ঝামেলা ভোটকর্মীর

ভোটের কাজ করতে এসে ব্লক অফিসের কর্মীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন এক ভোটকর্মী। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে স্বরূপনগরের মালঙ্গপাড়ায়। দু’পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। ” উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিডিও এবং মহকুমাশাসকের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:১১
Share:

ভোটের কাজ করতে এসে ব্লক অফিসের কর্মীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন এক ভোটকর্মী। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে স্বরূপনগরের মালঙ্গপাড়ায়। দু’পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। ” উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিডিও এবং মহকুমাশাসকের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে।”

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বারাসতের দাঁড়িয়ালা এফপি স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরীর ভোটের ডিউটি পড়েছিল মালঙ্গপাড়ার ডিসিআরসি সেন্টারে। তিনি ছিলেন ‘রিজার্ভ’ কর্মী। ভোটপর্ব মেটার পরে বাড়ি ফেরার তাড়া থাকায় স্বপনবাবু দ্রুত পাওনা টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলেন ব্লক প্রশাসনের কর্মীদের। স্বপনবাবু জানান, ভোটের ডিউটি বাবদ আগে ৫০০ টাকা পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় পোলিং অফিসার হিসাবে আরও ৪০০ টাকা পাওয়ার কথা ছিল। সেই টাকা চাইতে গেলে বিডিও অফিসের কর্মীরা রূঢ় ব্যবহার করেন। আর টাকা দেওয়া যাবে না বলেও জানিয়ে দেন বলে স্বপনবাবুর অভিযোগ। তাঁর দাবি কেন পুরো টাকা পাবেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললে যুগ্ম বিডিও-র নেতৃত্বে কয়েক জন তাঁকে মারধর করে। জামা ছিঁড়ে যায়। একটি ঘরে আটকে রাখার চেষ্টা করা হয় তাঁকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর লোকজন এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। ওই ঘটনার পরেও অবশ্য তাঁর প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন স্বপনবাবু। তাঁর কথায়, “ভোটের কাজ করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হল, তা খুবই খারাপ। এক জন প্রধান শিক্ষক হিসাবে অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছি।”

ব্লক প্রশাসনের অবশ্য দাবি, মারধর বা টাকা দিতে না চাওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাড়াতাড়ি পাওনা টাকা নিয়ে বাড়ি যেতে চেয়ে চাইছিলেন ওই শিক্ষক। তা নিয়ে স্ট্রং রুমের সামনে দাঁড়িয়ে অকারণে চিৎকার-চেঁচামেচি জোড়েন। তাঁকে সরিয়ে দেন বিডিও অফিসের কর্মীরা। ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বরূপনগরের বিডিও অর্ণব রায় সরকারি কাজে বাধাদান, সরকারি কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি এবং সংরক্ষিত এলাকায় গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টার অভিযোগ করেছেন থানায়।

Advertisement

মনমীত নন্দা বলেন, “নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী সকলে টাকা পেয়েছেন।” বসিরহাটের মহকুমাশাসক শেখর সেনের কথায়, “স্বপনবাবু পাওনা টাকা নেওয়া সত্ত্বেও অন্যায় ভাবে হাঙ্গামা বাধানোর চেষ্টা করেছিলেন। তাতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছিল। ওঁকে সংরক্ষিত জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement