গৃহবধূকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ

এক বধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল তাঁর শাশুড়ি, ননদ এবং জায়ের বিরুদ্ধে। ৪ ফেব্রুয়ারি ঘটনাটি ঘটেছে জীবনতলা থানার নাগরতলা পাতিখালি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, জখম মহিলার সাহানারা মোল্লা। তিনি ক্যানিং হাসপাতালে চিকিত্‌সাধীন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৩৬
Share:

এক বধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল তাঁর শাশুড়ি, ননদ এবং জায়ের বিরুদ্ধে। ৪ ফেব্রুয়ারি ঘটনাটি ঘটেছে জীবনতলা থানার নাগরতলা পাতিখালি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, জখম মহিলার সাহানারা মোল্লা। তিনি ক্যানিং হাসপাতালে চিকিত্‌সাধীন। তাঁর মা সামিরন সর্দারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে জীবনতলার গোবিন্দনগরের বাসিন্দা হারান সর্দারের মেয়ে সাহানারার বিয়ে হয় নাসিম আলি মোল্লার সঙ্গে। ওই দম্পতির দুই মেয়ে ও দুই ছেলে। নাসিম কলকাতায় রিকশা চালান। অভিযোগ, সেই সুযোগে ওই মহিলার শাশুড়ি গোলেহার বিবি, ননদ সাকুরা বিবি ও জা রিজিয়া মোল্লা তাঁর উপরে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন চালাত। বার বার তাঁকে বাপের বাড়ির থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হত বলেও অভিযোগ। এ দিন সকালে গোলেহার তাঁকে বাপের বাড়ির থেকে কুড়ি হাজার টাকা আনার জন্য ফের চাপ দেয়। সেই টাকা আনতে অস্বীকার করলে সাহানারার গায়ে তারা আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। হাসপাতাল থেকে সাহানারা বলেন, “প্রায়শই টাকার জন্য ওরা আমার উপরে অত্যাচার করত। ওই দিন আমি রুটি করছিলাম। সে সময় আমাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে তারা। আমি সেই টাকা না আনতে চাওয়ায় শাশুড়ি, ননদ এবং জা মিলে আমার কাপড়ে উনুনের জ্বালানি কাঠ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।”

সাহানারার স্বামী নাসিমও স্ত্রীর উপর মায়ের অত্যাচারের কথা স্বীকার করে নেন। তাঁর কথায়, “অনেকবার মাকে বুঝিয়েছিলাম, এ ভাবে সাহানারার উপরে অত্যাচার করো না। কিন্তু মা কোনও কথাই শুনতেন না। শেষ পর্যন্ত ওকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে বলে বাড়ি এসে শুনলাম।” এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। অভিযুক্তেরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement