উদ্যোগ: কাজে নেমেছেন ওঁরা। নিজস্ব চিত্র
দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল কাঠের সাঁকো। ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে মানুষকে। অভিযোগ, প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত এলাকার দুই যুবক উদ্যোগী হয়ে সাঁকো মেরামত করে যাতায়াতের যোগ্য করে তুলছেন।
ভাঙড় ২ ব্লকের বেঁওতা ২ পঞ্চায়েতের আবাদপাড়া এলাকার ঘটনা। ওই এলাকায় ভাঙড়ের বাগজোলা খালের উপরে নির্মিত কাঠের সাঁকোটি খড়মাতাল এলাকার সঙ্গে যুক্ত। এই সাঁকোর উপর নির্ভরশীল কুলিপাড়া, হানাখালি, বামনঘাটা, খড়মাতাল, শেকলতলা, পুকুরাইট, ঢালিপাড়া-সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার ২৫-৩০ হাজার মানুষ।
বেহাল সাঁকোর কারণে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। নিউটাউন-লাগোয়া ভাঙড়ের ওই সব এলাকার বহু মহিলা গৃহ সহায়িকার কাজে শহর ও শহরতলিতে যান। সাঁকো ব্যবহার করতে না পেরে বর্তমানে তাঁদের হাটগাছা হয়ে ঘুরে শহর ও শহরতলিতে কাজে যেতে হচ্ছিল।
এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসেন এলাকার দুই যুবক শেখ সাবির ও সামিমউদ্দিন। নিজেরা প্রায় ৪২ হাজার টাকা খরচ করে ওই কাঠের সাঁকোটি মেরামত করেছেন তাঁরা। দুই যুবক জানান, মানুষের অসুবিধার কথা ভেবেই এই উদ্যোগী। ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলামের নির্দেশেই তাঁরা সাঁকো মেরামত করছেন বলে জানালেন সাবির ও সামিম।
আরাবুল বলেন, “সাঁকোটি দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল। সংস্কারের জন্য আমরা ইতিমধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েছি। তবে আপাতত মানুষের যাতায়াতের অসুবিধার কথা ভেবে এলাকার দুই সমাজসেবী সাঁকোটি মেরামত করে দিচ্ছেন। ওঁদের সাধুবাদ জানাই।” ভাঙড় ২ বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায়ের কথায়, “সাঁকো দ্রুত সংস্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”