প্রতীকী ছবি
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক তৃণমূল কর্মীর। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার হাটপুকুরিয়া বাজার এলাকায়। ইদ্রিস মণ্ডল (৩৫) নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে প্রথমে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন ধরেই হাটপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য ডেভিসাবাদ, মরাপ্রিয়া গ্রামগুলিতে এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূলের মূল সংগঠনের সঙ্গে যুব সংগঠনের বিবাদ চলছে। এই বিবাদের জেরে এলাকায় অশান্তিও হয় দু’পক্ষের মধ্যে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে। এরপর বুধবার রাতে নতুন করে এলাকায় গন্ডগোল শুরু হয়। এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমা-গুলির লড়াই চলে। এলাকার তৃণমূল নেতা তথা হাটপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি সিরাজ ঘরামির দাবি, “গত কয়েকদিন ধরেই যুব তৃণমূলের নাম করে এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে জালাল সর্দার ও তার অনুগামীরা। গতকাল রাতে আমাকে খুনের জন্য ওরা দলবল নিয়ে এসেছিল। আমাকে না পেয়ে আমাদের দলের অন্যতম কর্মী ইদ্রিসকে লক্ষ্য করে গুলি করে। বৃহস্পতিবার ইদ্রিসের মৃত্যু হয়।’’
ঘটনার পর থেকে অবশ্য জালাল ও তার অনুগামীরা পলাতক বলেই পুলিশ সূত্রের খবর। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের এই অভিযোগ মানতে চাননি ক্যানিং ১ ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পরেশরাম দাস। তিনি বলেন, “এই ঘটনার পিছনে যুব তৃণমূল কর্মীরা জড়িত নয়। বর্তমানে দেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলছে। আমারা সকলেই সকলের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এই পরিস্থিতিতে কে বা কারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমার জানা নেই। তবে যারাই এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিক পুলিশ।’’ এ বিষয়ে এলাকার বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি, পুলিশকে তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করতে বলেছি।’’